যে বালুকণাগুলি এখনো চূর্ণিত হয়নি,
তারা জানে না কোথা থেকে আসে ভ্রান্তি—
কোন নিষিদ্ধ পৃথিবীর ধুলো, অন্ধকারের সাথে মিশে
মুক্তি চায় লাশের শ্বাসবায়ুতে!
তাদের স্বপ্নে হাঁটে এক মৃত রাজা,
যে তৈরি করে মসৃণ খড়মের আঘাতে রক্তের নকশা,
নিঃশব্দে কাটে বালুকাবেলা,
পৃথিবীর মানচিত্রে অঙ্কিত এক মহাজাগতিক ব্যাধি।
আকাশ জানে না যে তারা মিশেছে ভ্রান্তির ধোঁয়ায়,
তাদের জন্মই যেন মৃত কবিতার পঙ্ক্তি,
অথচ এখানে, কেউ একজন ঢুকে পড়ে মৃত সভ্যতার গোপন দরজায়,
নতুন এক ধর্মের নামে রচনা করে যুদ্ধের মহাকাব্য,
রাত্রির বুকে ছুরি বিঁধিয়ে,
মৃত্যুর দোহাই তুলে পৃথিবীকে সাজাতে চায় অদ্ভুত বিভ্রমে।
জীবনের মেঘলা ছায়ায় কেউ কেউ বসিয়ে দিয়েছে এক মঞ্চ,
যেখানে মৃত্যু দাঁড়িয়ে বলে—"এবার যুদ্ধ শুরু হোক!"
আর সমুদ্রের ওপার থেকে তালি দেয় সেই মানুষ,
যার অঙ্গুলি একবার তুললেই ভেঙে যাবে সভ্যতা,
জন্ম নেবে নতুন এক ছায়া—
কেউ জানে না, সে কি মানুষের মুখোশে লুকানো আরেক নিঃসঙ্গ পিশাচ!
কিন্তু অন্ধকারের মাঝে খেলা করে সূর্যের এক বিন্দু,
যে চায়, সব মুছে ফেলতে,
কিন্তু জানে না সে, কিভাবে ইতিহাসের মৃত্যু হয়,
কোনো এক ভুল ছায়ার পিছনে দাঁড়িয়ে
মিথ্যার হাত ধরে চলে অদৃশ্য চক্রান্তের পথে।
এভাবে জন্ম নেয় এক নিষিদ্ধ পুষ্প,
যার গন্ধে ম্লান হয়ে যায় সমস্ত মানুষের মুখ,
আর তখনই শুরু হয় এক নতুন খেলা—
নোবেল! কিন্তু এই পুরস্কার কি সত্যিই,
নাকি শুধু আরও একটি প্রহসন?
একটি কৌতুকময় প্রহেলিকা—সমস্ত পৃথিবীকে বোকা বানাবার শেষ চেষ্টা!