স্বপ্নের নীল নদীতে ভেসে বেড়ায়,
মধুমতির মেয়ে, তারা হতে চায়।

যখন কবিরা অন্ধকারের কোলে
সূর্যের স্বপ্ন দেখে,
তখনই জন্ম নেয় সে,
মধুমতির মেয়ে।

কুয়াশাচ্ছাদিত সুরমার সীমান্তে,
এক পানে সিলেটি চায়ের গন্ধে,
মায়ের গল্পের নাগালের রাজ্যে,
জন্ম নেয় সে, মধুমতির মেয়ে।
চোখে তার সুরমা নদীর কাজল,
কুন্তলরাশি রাতের গোপন অক্ষর।

বাঁশির সুরে লেখে সে কবিতা,
মান ভাঙা চম্পা ফুলের মতো হাসি,
কথা তার টিয়ার মৃদু কলতান।
ধানখেতে দুপুরের রোদে,
খেজুরের রসে, লেগে থাকে সে,
স্বপ্ন দেখে ঢাকার আকাশের তারা হওয়ার।

কিন্তু, কপালে তার লেখা আছে
নিজের মাটিতেই ফুল ফোটানোর নিয়তি।
মধুমতির মেয়ে সিলেটের মাটির মতোই
শত সহস্র স্বপ্নের বীজ বপন করে।
একদিন সেই স্বপ্ন ফুটবে,
আকাশ জুড়ে সুরমার কবিতা লিখবে।

আঁধারের আলোয় লেখে সে কাহিনি,
মধুমতির মেয়ে, চিরন্তনী।