চাঁদের নরম আলোতে নেমে আসে রক্তের ছায়া
শস্যের মাঠে আজ ঘুমিয়ে থাকে ন্যায়ের মৃতদেহ,
আকাশের নীল থেকে ঝরে পড়ে আইনহীন ঘামের কণা
শিক্ষার্থীর চোখে বিচারকের মুখোশ— কিন্তু আঙুলে কাঁটা,
যেখানে চোর সন্দেহে নীরবতা ফেটে যায় সূর্যাস্তের চিৎকারে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গাছেরা আজ দেহহীন ইতিহাসের সাথি,
অপরাধের পলাশে ফোটে অন্ধকারের ফুল—
সেই অন্ধকার, যেখানে হাতুড়ির আঘাতে
পৃথিবীর নাভি থেকে উঠে আসে বিচারবিহীন রক্তস্রোত।

রাজশাহীর বাতাসে ভাসে দেহহীন আত্মার বেদনা,
প্রতিবন্ধী যুবকের কণ্ঠস্বর আজ মিশে গেছে ধূলিকণার সাথে,
খুনের শিক্ষা কি এখন আমাদের বইয়ের পাতায় লেখা?
না, বর্বরতার যুগ ফিরেছে— এই সভ্যতা কেবল মুখোশের রূপে ভ্রান্তি।

আমরা এখন বাঁচি শিকলবদ্ধ বিবেকের ছায়ায়,
যেখানে মানুষের হাতেই মানুষের মৃত্যু,
আর আমরা নিঃশব্দে বসে থাকি—
আমাদের সভ্যতার অবশিষ্ট রক্তাক্ত সূর্যাস্ত দেখতে।