কত যুগে-মহাকালে স্বপ্নের তরণি ভেসে যায় নিঃশব্দ সাগরে,
সুবলের চোখে আজ বিষণ্ণতার কুয়াশা - মায়াবী অন্তরে
জাগে শূন্যতার বীজ; ধর্মের প্রাচীরে ফোটে রক্তাভ কেশর,
গ্রামের আঙিনায় তার অস্তিত্বের ছায়া হয় ক্ষীণতর।
বাঙালি হৃদয়ে তার জলছবি আঁকে কোন অদৃশ্য চিত্রকর,
স্মৃতির পাতায় লেখে ইতিহাসের কাহিনি - অমর অক্ষর।
বিশ্বাসের বাঁধন যেন চিরন্তন নদীর প্রবাহে ভাসমান,
সীমান্তের ওপারে যে দেশ, সেথা কি পাবে সে নতুন প্রাণ?
প্রতিবেশী কণ্ঠস্বরে শোনা যায় বিদায়ের করুণ আহ্বান,
সুবলের মনে জাগে প্রশ্ন: কোথায় তার দেশ, কোথায় নিবাস?
মাটির গন্ধে মেশা তার রক্তে বয় বঙ্গভূমির অভিমান,
তবু কেন ছেড়ে যেতে হবে তারে? কেন এ নির্মম পরিহাস?
ভারতের দিকে চেয়ে ভাবে সে: সেখানে কি মিলবে সম্মান?
অথবা সেখানেও কি অপেক্ষা করে শুধু নীরব নিশ্বাস?