রাত্রির শিকারের কাছে
ফেটে যায় স্নায়ুর ছায়া-গল্প,
তারা জানত না
ক্ষুধার্ত নক্ষত্রেরা তাদের শরীরে মন্ত্রণা লিখছে,
মাটির গভীর থেকে উঠে আসে রক্ত-মেঘের স্পন্দন,
অবাধ্য শব্দেরা বন্দুক হয়ে ফেটে পড়ে —
মৃত্যুর উৎসব রচনা করে অন্ধকারের করিডোরে।
৭.৬২ ব্যারেলের ভেতরে জন্ম নেয়
ক্লান্তির ভাষা, রাষ্ট্রের পচন,
সমাজের তির্যক চোখ।
তোমরা কে? কে লিখলে এ মহা বধ্যভূমির কাব্য?
সেখানে অস্তিত্ব ঝরে পড়ে
তোমার আদিম পাপের মদিরায়,
আর আমরা খুঁজি এক বর্ণহীন নিশ্বাস,
যে জেগে উঠবে মৃত ছাত্রদের শিরায় শিরায়।
তোমার ছায়ায় জ্বলে ওঠে ইতিহাসের বুলেট —
কার হাতে লেখা হলো এই মহাযুদ্ধের পরিহাস?
মৃত্যু কার পিপাসা মেটাতে লুকাল তার নাম?