যেখানে মাটির নীচে নড়ে ওঠে শিকড়,
সেখানে ভয়ে ভয়ে জন্মায় গাছ—
অঙ্কুরিত হবার আগেই যেন হাত বাড়ায় কেউ,
লাশের সারি গুনে।

যেই মেঠো পথ ধরে হেঁটে যায় বাপ-মা-কাকিমা,
সেই পথ কাঁদে রোজ—কখনও নীরব, কখনও শোকে লুটোপুটি।
সকালবেলা উঠতে না উঠতে গাঁয়ের মেয়েদের রূপ বিক্রি হয়ে যায়,
ছোট্ট বালকের ঘুমও হয়ে যায় বিবস্ত্র, নিষ্ঠুর।

ঘরবাড়ি ভাঙে হঠাৎ ঝড়ের মতো—
তবু কেঁদে ওঠে না কেউ,
ভাঙা টিনের চালা গর্ভস্থ ধুলায় মিশে যায় যেন
একটা জীবনের কঙ্কাল।

পথের ধারে দাঁড়ায় অচেনা মুখ,
খালি হাত নয়, তাদের আছে
ধাতব হাতের টোকা—
রাতের আঁধারে কাঁচির মতো কাটা পড়ে
ভাগ্যবানের জমি, হিন্দুর মুখ।

মাটির দেওয়াল জুড়ে লেখা প্রতিজ্ঞা,
রক্ত দিয়ে আঁকা ইতিহাস,
জ্যোৎস্নাহীন রাতে জ্বলতে থাকা কাঁদুনি মোমবাতি—
আঁধার যে কিভাবে হঠাৎ ছায়া টেনে নিয়ে আসে,
বুকে তবু শূন্যতা।

আজ, এই জমির বুকে দাঁড়ায় অবিচারের সারি
আর কফনের কাপড় পরে বাঁচে হিন্দুরা এই দেশে,
মৃত্যু যেন তাদের ছায়া, সঙ্গে সঙ্গে চলে।