স্বপ্ন ভেঙে ছিঁড়ে যায় রজনির কালো পতাকা,
সীমান্তে জ্বলে ওঠে অশান্তির আগুন, ধোঁয়া।

কপালে জ্বলছে মধুসূদনের চাঁদ,
হাওয়ায় ভাসে বিদ্রোহী বিজয়ের গান।
পূবের আকাশে ঝুলে আছে মোমিনের মসজিদ,
পশ্চিমে ধ্বনি দেয় মন্দিরের ঘণ্টা।

আমরা কে? নিখিলের নির্বাসিত সন্তান,
সীমান্তরেখায় আঁকা এক অসমাপ্ত চিঠি।
মাটিতে ফুটে উঠেছে অগ্নি-কুসুমের বনে
শিশিরে ভেজা ইতিহাসের কঠিন কবিতা।

ভারতের বাজারে বিক্রি হয় রবীন্দ্রনাথের স্বপ্ন,
গঙ্গায় ভাসে বাংলার বিধ্বস্ত চিঠি।
পদ্মা নদী কাঁদে, মেঘ করে জলবর্ষণ,
আকাশের তারাগুলি জ্বলে নিভে নিঃশব্দে।

আমরা ধানের খেত জুড়ে দাঁড়িয়ে আছি,
হাতে নেই কোনো অস্ত্র, শুধু মনের যুদ্ধ।
এই বিচ্ছেদের মধ্যেও ফুটে উঠবে একদিন
স্বাধীনতার সোনালি ফসল,

কিন্তু কবে? কবে?

সীমান্তরেখায় দাঁড়িয়ে আছি, চেয়ে আছি দূরে,
ভারতের মাটি, আমার মাটিরই অংশ বলে মনে হয়।
কিন্তু কাটাছেঁড়া এই বন্ধন,
বিশ্বাসের রেখা হয়েছে রক্তাক্ত।

ধর্মের পথে চলব, এটাই আমার মন্ত্র,

কিন্তু ধর্ম কি বিভাজনের রেখা টানে?
আমার মনে জাগে প্রশ্ন, থাকে না কোনো উত্তর,
সীমান্তের এই সেপ্টেম্বরে, বৃষ্টি নামে অবিরাম।

কবে মিলবে এই বিচ্ছিন্ন দুই হৃদয়,
কবে হবে এক আকাশে একই সূর্যের উদয়?