অন্ধকারে বাজে লৌহঘণ্টা,
আকাশে চিতার শিখা ওঠে কুন্ডলী পাকিয়ে।
ধূসর মেঘের ভাঁজে লুকিয়ে থাকে নীলচে রক্ত,
যেন ইতিহাসের পাতা খুঁড়ে কেউ বের করছে গোপন যন্ত্রণার কথা।

শস্যক্ষেত্রে বুনেছে কেউ বিষের বীজ,
ধানগাছের শিরায় শিরায় জমেছে দ্বেষের মলিনতা।
নদীর জলে মিশেছে অশ্রুর নোনা স্বাদ,
পাহাড়ের কোলেও শুনি মাটির দীর্ঘশ্বাস।

এ শহর, এ মাঠ, এ পথ - সব যেন রুদ্ধ শ্বাসে অপেক্ষমাণ।
অহঙ্কারের মন্ত্রে জ্বলে ওঠা মুখগুলো
দপ করে নিভে যায় আবার;
তারা জানে না, ধ্বংসের পরে যে জন্ম,
তার নাম প্রতিশ্রুতির আলো।

তাই আমি ছুরি চালাই কল্পনার মেঘে,
ঝড়ের গভীরে খুঁজি সত্যের শেকড়।
তোমরা যারা পরাজয় ভেবে থেমে গেছ,
শোনো,
অন্ধকারেই তো জন্ম নেয় নক্ষত্রের আলো।

যদি বাড়ে বেড়ে ওঠে বীজের মতো,
ছিন্ন করি মূল, শিরচ্ছেদ করি সব।
অহঙ্কারের বৃক্ষ ছাঁটব কাঁচি দিয়ে,
না হবে আর শাখা-প্রশাখার কোনো ঠাঁই।
রক্তাক্ত হবে মাটি, কিন্তু শান্ত হবে,
কণ্ঠহীন হবে যারা করেছিল কোলাহল।