মায়াবী স্বপ্নের রাজনীতি, ক্ষণভঙ্গুর আশার আঁচড়,
ঈশ্বরের মুখোশ পরে ক্ষমতার খেলা, জনগণের বেদনার ঝড়।

নেতাজীর চোখে কাঁঠালি ফুলের পরাগ,
জ্যাকেটের পকেটে ঢাকা এক খাড়া তাল গাছ।
সাংবাদিকের প্রশ্ন - ক্ষমতায় এলে,
দুর্নীতির ষাঁড়ের বশে নিজেদের মন্ত্রীরা যদি রাজ্যে লুটের ঝড় বয়ে দেয়?

নেতাজী হাসলেন, তাঁর হাসিটা ফেটে পড়লে ফুটে বেরোল মেঘমালা।
মেঘের গায়ে রোদের রঙ, ঝরে পড়ল কয়েকটা কাঁঠালি ফুল।
প্রতিটি ফুলের মধ্যে একটা করে ক্ষুদ্র, স্বচ্ছ ঈশ্বরের মূর্তি।

সাংবাদিক চমকে উঠলেন। নেতাজী বললেন, "দেখুন,
আমার মন্ত্রীরা হবেন স্বচ্ছ ঈশ্বরেরা।
তারা রাষ্ট্রের কোষাগার লুট করবেন না,
তারা কর সংগ্রহ করবেন স্বপ্নের ফুল থেকে।
প্রতি সকালে, সূর্য ওঠার আগে,
রাস্তার ধারে ফুটে থাকা স্বপ্নের ফুলের পাপড়ি কুড়োবেন।
এই ফুলের ঘ্রাণে লোভ থাকে না, ক্ষুধা থাকে না,
কেবল থাকে দেশের প্রতি ভালোবাসা।"

সাংবাদিক হতবাক! কিন্তু দেখলেন, নেতাজীর হাতে একটা স্বপ্নের ফুল।
ফুলের পাপড়ি ছুঁতেই তাঁর মনেও জাগল এক অদ্ভুত শান্তি,
দেশের প্রতি এক অজানা টান।

কিন্তু ঠিক সেই সময়, জানালার বাইরে,
ঝড়ের মধ্যে দুর্নীতির ষাঁড়টি হামাগুড়ি দিচ্ছিল।
ঈশ্বরের মূর্তিগুলো কাঁপতে লাগল।

স্বপ্ন ভেঙে ভেসে যায় ক্ষণে, ঈশ্বর হারিয়ে যায় পথে,
দুর্নীতির ষাঁড় হুঙ্কার দেয়, রাত নেমে আসে দেশে।