মায়াবী মঞ্চে, কালের নিশ্বাসে,
জীবনের নাটক চলে অবিরাম গতিতে।

কালের কাঠের মঞ্চে, মৃত্যুর কালো পোশাকে,
অভিনয়ের খেলায় আমরা জড়িয়ে আছি।
হাসি, কান্না, রাগের মুখোশ পরে,
নাটকের চরিত্রে আমরা মাত্রই খেলি।

কিন্তু এই নাটকের স্রষ্টা কে?
পরিকল্পনার সুতো কে বুনেছে আমাদের ভাগ্য?
অদৃশ্য সুতোর টানে কে নাচায় আমাদের,
পুতুলের মতো, নিজের ইচ্ছার বাইরে?

জন্মের মঞ্চে প্রবেশ, তারুণ্যের উচ্ছ্বাস,
মধ্যবয়সের দ্বন্দ্ব, বার্ধক্যের নিঃশব্দ সুর।
একের পর এক দৃশ্যে বদলে যায় চরিত্র,
কখনও রাজা, কখনও ভিখারি, কখনও বিজেতা, কখনও পরাজিত।

কিন্তু এই নাটকের শেষ কোথায়?
অন্তিম পর্দা নামার আগে কি খুঁজে পাব নিজের সত্যিকারের নাম?
না কি চিরকালই থাকবো অজ্ঞাত,
এই বিশাল মঞ্চে অসংখ্য চরিত্রের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া এক ফোঁটা অভিনয়?

তবুও, খেলি, হাসি, কাঁদি, ভালোবাসি,
এই নাটকের মধ্যেই খুঁজি জীবনের স্বাদ।
কিছুক্ষণের জন্য হলেও ভুলে যাই,
এ মাত্রই অভিনয়, সত্যিকারের জীবন অন্য কোথাও।

হয়তো, আমরাই লিখছি এই নাটকের শেষ,
আমাদের অভিনয় দিয়েই সাজিয়ে দিচ্ছি মঞ্চ।
পরিচালক নেই, নেই সূত্রধার,
আমরাই নাট্যকার, আমরাই অভিনেতা, আমরাই দর্শক।

তাই মঞ্চে দাঁড়িয়ে, মাথা উঁচু করে খেলি,
নিজের গল্প বলি, নিজের সুর গাই।
মহাকালের মঞ্চে, এই ক্ষণিকের অভিনয়েই,
খুঁজে পাই নিজের অস্তিত্বের স্বাক্ষর।

কালের নদীর তীরে, অস্তিত্বের খেলায়,
আমরা সকলেই অভিনেতা, নিয়তির লেখায়।