এখন আর বাজারে যাওয়ার প্রয়োজন নেই—
আমার দৃষ্টি নদীর মতো প্রান্তিক, যেখানে শূন্যতার ঢেউ খেলে যায় নীলাভ দিগন্তে।
মেঘেরা দাম হাঁকে; অদ্ভুত সাদা ফুলের গন্ধে মৃদু ঝাপটায় বাতাস—
আমার পকেট শূন্য, অন্ধকারে ভরে গেছে; তবুও কালো রুপালি রোদ ভেসে আসে নীল আকাশে।
রূপকথার সেই বাজার এখন ধূসর হয়ে গেছে;
মেঘেরা ঘুরে ঘুরে নক্ষত্রের টুকরো বিক্রি করে—
একদিন হয়তো আমি নক্ষত্র কিনতে যেতাম; আজ ভিখারির মতন উষ্ণতা খুঁজি মহাশূন্যে।

কেনা-বেচার গল্পগুলো সব এক হয়ে গেছে, মিশে গেছে শূন্যতায়—
আমার সংসারের ভাঁড়ার আর কিচ্ছু নেই;
কেবল এক অদ্ভুত নিঃসঙ্গতা জেগে আছে,
নিম্ন মধ্যবিত্ত স্বপ্নেরা আজ হারিয়েছে তাদের শেষ সূর্যরশ্মি—
দারিদ্র্যের ছায়ায় ভেসে চলে ম্লান মুখের হাসি।

আজ রাত্রি আসে দেরি করে,
তারাও যেমন আসে না রাতের আকাশে;
বাজারের সেই গল্প—
আর আমাদের নেই, শুধু বেঁচে থাকা মুখ থুবড়ে পড়ে আছে আঁধারে।