আমরা চিহ্নিত করিনি কোনো খুনির নাম,
শুধু শুনেছি রক্তের শিহরণ, রাস্তায় ছড়ানো সবুজ রঙ।
গোলাপের গন্ধ আর জ্বলন্ত ধোঁয়ার বিষাক্ত মিশ্রণে,
গর্ভে-গর্ভে ফুটে ওঠে নির্লজ্জ দুর্নীতির হাসি।
গলির মোড়ে দাঁড়িয়ে ফ্যালফ্যাল চেয়ে দেখি,
রক্তবৃষ্টি পড়ছে ভেজা অন্ধকারে।
এখন তেলের দামে নিভে যায় প্রদীপের আলো,
আর প্রতিটি মোড়ের নীরব কান্নায় জেগে ওঠে আতঙ্কের সকাল।
তাদের রাজ্যে শুধু বন্দুকের ভাষা বোঝা যায়,
কাগজের ওপর লেখে মৃত্যুর সংখ্যা,
আর আমাদের বুকের ভেতর জমা হয় স্তূপাকার ভয়।
এ শহরে প্রার্থনার কন্ঠরাও আজ থেমে গেছে—
কারা যেন আসে মুখোশ পরে, হাত বাড়িয়ে টানে ভয়কে।
শোনো,
আজ সবুজের ওপরে লাল দাগ,
লাল রঙে ঢেকে গেছে বাংলার ভোর।
নিখুঁত শিকারের মতন নিঃশেষে
ধুলো হয়ে হারায় শিশুদের স্বপ্ন।
তবু আকাশে আকাশে ভাসে মৃত্যু,
এমন অন্ধকার নামেনি আগে,
চুরি, হত্যা, শোষণ সবই যেন এক নিয়মের চক্রে,
একে একে জ্বলে ওঠে ধ্বংসের গীত।
সীমান্তের কাছে দাঁড়িয়ে দেখি, কাঁদছে নদী—
এ কোন দুঃখের দেশ হল আমাদের?
তাদের শাসন শুধু বিষাদের ভাষা,
আর লাল ছাপা মৃত্যু।
বাংলাদেশের আকাশে মৃত্যু নামছে।