ঝড়ের মতো লাল সিগারেট জ্বলে—
রক্তপাতের স্মৃতি আমার ঠোঁটে ঝুলে থাকে,
পোড়া আঁচলের গন্ধ নিয়ে রাত আসে ঘুমের ভেতরে,
সেইখানে আমাদের ঘর,
চালে পুঁতে রাখা ছিল এককালে তামা-রুপার জলে নেমে আসা ঘুড়ি,
তখন তো আমরা কল্পনার শহরে
পিছনে পাথরের মতো স্মৃতি বয়ে বেড়াই।
ঘাসের মধ্যে জোনাকি পুড়ে পুড়ে বেড়ে ওঠে—
হলুদ বাতাসে আমার শ্বাস আটকে যায়
ফাঁকা ঘরে চাবির মতো একা হয়ে
বুকের গহীনে অন্ধকারের শব্দেরা বসবাস করে,
তাদের মুখে আজও কাঁচা হলুদের গন্ধ।
কতবার মনে হয়েছে সব ছেড়ে চলি,
আলোর পথের কাছে নতজানু হয়ে বসে
এক বিন্দু আলো হাতের মুঠোয় ধরতে পারি না,
হাতের রেখাগুলোর সাথে লেগে আছে শোকের চিহ্ন।
জলজঙলার মাটিতে ডুবে ছিল পা,
খোলা আকাশের নিচে কাঁটাগাছের বাঁকা শিকড়ের ভেতর
নিজের রক্তের রঙ দেখেছি ধূসর মাটিতে মিশে যেতে।
এখনো জানি, সেই ফিকে দাগ মুছে যাবে না কোনোদিন,
শুধু আকাশের দিকে মুখ করে দাঁড়াতে চাই—
ভেজা পাতা যেমন ফেলে আসে বৃষ্টির কান্না,
অবশেষে দাঁড়াব ঐ উদাসীন আকাশের দিকে মুখ তুলে।
কোনো একদিন বৃক্ষের মতো নত হয়েছিলাম বোধ হয়,
এবার উঠে দাঁড়াব আকাশের দিকে মুখ করে।