পুঁথি যদি মোর ভাগ্য নির্ণয় করে,
পাপভার যদি পুরোহিত স্কন্ধে ধরে।
বৈদ্য যদি কয় বিধান,
কি ভক্ষ্য, কি পান,
তবে কেন আমি ভাবি অনিবার, ওরে?

ভাবিতে চাহি না আমি, এ বড় ঝকমারি,
পরের উপর ভর, এ তো বেশ কারবারি।
মুদ্রা যদি ঢালি,
চিন্তা যাক দূরে চলি,
তবে কেন করি মিছে মগজের মারামারি?

আলস্যের তরি বাহি, আমি দিশেহারা,
ভীরুতার শৃঙ্খলে বাঁধা এ জীবন সারা।
পরের ইশারায় নাচি,
পুতুলের মতো বাঁচি,
স্বাধীনতা? সে তো মরীচিকা শুধু, ছলনা ভরা।

যারা রক্ষক সেজে করে শুধু ভান,
ধূর্ততায় ভরা তাদের সবার প্রাণ।
দুর্বল আমরা হলে,
চুষে খাবে তারা ছলে,
এই প্রহসনই তাদের রোজগার বিধান।

চিন্তাহীন জীবন যেন স্রোতের শ্যাওলা,
যে দিকে স্রোত বয়, সেই দিকেই চলা।
আত্ম-অন্বেষণহীন,
পরের পদানত দিন,
এ কেমন দাসত্ব, এ কেমন খেলা?

স্ব-শাসন হারায়ে যে খোঁজে পরিত্রাণ,
সে তো বন্দি রবে চিরকাল অজ্ঞান।
পরের হাতে ডোর,
নিজের ঘরেই চোর,
এ কেমন বিধি, এ কেমন পরিহাস, হায় ভগবান।