সিংহাসনে বসে আছো রাজা তুমি মহানুভব,
পদতলে কাঁদে দীন, নাহি পাও অনুভব।
প্রাসাদের প্রাচীরে ঘেরা সুরম্য তোমার ভুবন,
ক্ষুধার্তের আর্তনাদে কভু না ভরে মন।
ভোজনপাত্র সোনা-রুপা, পঞ্চব্যঞ্জন থরে থরে,
অন্নের অভাবে শিশু মরে পথে কাতরে।
মন্দিরের চূড়া ওই আকাশ নীলিম দিগন্ত,
পেট খালি, দেবপূজা – এ কেমন দুর্বিনীত?
ঐশ্বর্যের স্তূপে ব’সে ভুলে গেছ মৃত্তিকার ঘ্রাণ,
ধুলোমাখা পথে হাঁটে ক্ষুধিতের ম্লান প্রাণ।
পুরাণের কথা গাঁথা, ইতিহাসে লেখা রয়,
পূর্ণ যারা দরিদ্রের ব্যথা নাহি বোঝে নিশ্চয়।