প্রথম আলো ফুঁড়ে আসে শিরীষ পাতার ছায়া,
ঘুম ভেঙে দেখে কেউ টেবিলের উপর
একটা ফুটো কাপ, তাতে আধা ঠান্ডা চা,
আর পিঁপড়ের লাইন, সরল, নির্বাক, চলেছে।
শহরের গলিতে ধুলো আর ঝরা পাতা
অবিরত ঘূর্ণি খায়—দুপুরের রোদে যেন
অদৃশ্য ঝাড়ুদারের শূন্যতায় খেলা।
গলির বাগানে ঘাসের নিচে চাপা
প্রথম-আলো-বোনা নতুন এক রূপকথা,
যা কেউ কখনো শুনবে না।

পাশের দোকানে শীতল পানীয়ের বোতল খুলে
যে ভাঙা আওয়াজ উঠে, তা যেন কারো
ভূগর্ভে হারিয়ে যাওয়া একমাত্র গান।
দেয়ালে গোঁজানো পোস্টারের চোখগুলো বলে,
"শুধু দেখো, বিশ্বাস করো, প্রশ্ন নয়।”
সরু রাস্তাগুলো, রাত্রির অন্ধকারে,
অপেক্ষা করে, কারা যেন একদিন আসবে।

সেই রাতে কেউ শুনলো না
দূরের কারখানায় পাখির কণ্ঠে
নকল শব্দে ভরা অন্ধ ভবিষ্যৎ।
কারা যেন নিঃশব্দে লোহার বাক্সে
তৈরি করছে সূক্ষ্ম বিষ, আর শব্দহীন দংশন।
এই শহর, তার ঝুল বারান্দা আর
ময়লা জানালার ফাঁক গলে
বাইরে আসা গন্ধে ভরে আছে ছায়া।

দেশবাসী চোখ বন্ধ করে স্বপ্ন দেখে।
একটি বুনো গাছের ঝরা পাতার মতো,
তারা ভাবে পতন মানেই অগ্রগতি।
কিন্তু এই সরকার, মুখোশ পরে,
গোপন কারখানায় মরণের বিষ তৈরি করছে,
দেশবাসীকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর ঘুমে পাঠাতে।