নীরব রাত্রির ছায়ায় আঁধারে মগ্ন আমি,
হৃদয়ের শূন্য গহনে বেদনা জ্বলে ধীরে ধীরে।
প্রতি মুহূর্তে তোমার স্মৃতিতে চোখে জল গড়ায়,
খুঁজে ফিরি তোমার হাসি মৃত্যুর কালো গহ্বরে হায়।
এক অশরীরী সুর কানে কানে ফিসফিস করে,
"কখনো ফিরবে না সে, চিরবিদায়, চিরবিদায়..."

বাতাসে হাহাকার, ঝড়ে গাছের শাখা নাচে,
মৃত কাঠের মতো আমি, শুধু নিশ্বাস চলে।
তোমার হাতের স্পর্শ এখনো গায়ে লেগে আছে,
কিন্তু ঠান্ডা মাটির নিচে তোমার শরীর শুয়ে আছে।
সেই অশরীরী সুর আবার ফিসফিসিয়ে বলে,
"কখনো ফিরবে না সে, চিরবিদায়, চিরবিদায়..."

চাঁদের আলোয় মৃত্যুপুরী ম্লান হয়ে আঁধারে ডুবে,
কবরে শুয়ে আছে স্বপ্ন, মৃত্যুর কাপড়ে ঢাকা।
তোমার সুন্দর চোখ দুটি এখন আর দেখে না জগৎ,
শুধু কাঠের কফিন নৈঃশব্দ্যে বলে সব কথা।
সেই অশরীরী সুর কানে কানে গুঞ্জন করে,
"কখনো ফিরবে না সে, চিরবিদায়, চিরবিদায়..."

আঁধারে ঘুমের কোলে ঘোরে মৃত্যুর কালো ছায়া,
আমার পাগল মন বলে, "সে তো ফিরবেই একদিন।"
পুরনো চিঠিগুলো স্মৃতির মোমবাতি জ্বালায়,
তোমার লেখা প্রতিটি শব্দে হৃদয় অশ্রু ঝরায়।
সেই অশরীরী সুর হঠাৎ থামল যেন কেউ ডাকল,
কিন্তু আবার ধ্বনিত হলো, বলল,
"কখনো ফিরবে না সে, চিরবিদায়, চিরবিদায়..."

কবরের ফাটলে ঝরলো এক ফুলের পাপড়ি,
মনে হলো তোমার হাসি, ঝলমলে আলোর ঝিলিক।
আমি ছুটে গেলাম কাছে আঁকড়ে ধরার আশায়,
কিন্তু হাতছানি দিয়ে মিলিয়ে গেল অন্ধকারের ঝড়ে।
সেই অশরীরী সুর এবার কাছে এসে ফিসফিস করে,
"কখনো ফিরবে না সে, চিরবিদায়, চিরবিদায়..."

কালো ছায়ার রাজধানী, নিশ্বাস বাতাস হয়ে যায়,
আঁধারের গহনে হারিয়ে যায় সকল আশা আর স্বপ্ন।
চারপাশে শুধু মৃত্যুর গান, গাছে গাছে শোকের ফুল,
আমার পাগল হাসি মৃত্যুর সাথে খেলে লুকোচুরি।
সেই অশরীরী সুর গভীর কণ্ঠে গর্জে ওঠে,
"কখনো ফিরবে না সে, চিরবিদায়, চিরবিদায়..."

সাতটি রাত্রি পার হলো মৃত্যুর কালো আঁধারে,
আমার চোখের জল শুকিয়ে গেছে, হৃদয় শুধু কাঁপে।
তোমার স্মৃতির ছায়া আমাকে পাগল করে তোলে,
কখনো মনে হয় তুমি আছ, কখনো মনে হয় সব শূন্য।
সেই অশরীরী সুর আবার ফিরে এসে বলে,
"কখনো ফিরবে না সে, চিরবিদায়, চিরবিদায়..."

অষ্টম রাতের নিস্তব্ধতা চিরকালের মতো গভীর,
আমার পাগল চিৎকার আকাশের বুকে ভেসে যায়।
কবরের মাটি খুঁড়ি তোমাকে ফিরিয়ে আনার আশায়,
কিন্তু শুধু ঠান্ডা মাটি আর মৃত্যুর নিশ্বাস পাই।
সেই অশরীরী সুর এবার কান্নার মতো ফোঁপায়,
"কখনো ফিরবে না সে, চিরবিদায়, চিরবিদায়..."

নবম রাতে মৃত্যুর ঝিলিক আমার চোখে ঝলমলে,
পাগলের মতো হাসি মৃত্যুর সাথে খেলি আঁধারে।
তোমার নাম ধরে ডাকি, কিন্তু শুধু নৈঃশব্দ্য,
আমার পাগল মন বলে, "সে ফিরবেই একদিন।"
সেই অশরীরী সুর এবার হাসিতে শোনাচ্ছে যেন,
"কখনো ফিরবে না সে, চিরবিদায়, চিরবিদায়..."

দশম রাতে চাঁদহীন আকাশ কালো মেঘে ঢাকা,
আমার হৃদয় কবরে রাখা, শুধু শরীর এখন জীবন্ত।
তোমার স্মৃতির ছায়া আমাকে টানে অতল গহ্বরে,
মৃত্যুর সাথে নাচি, পাগলের মতো হাসি গগনে।
সেই অশরীরী সুর এবার ক্রুদ্ধ গর্জনে বলে,
"কখনো ফিরবে না সে, চিরবিদায়, চিরবিদায়..."

একাদশ রাতে ঝড়ঝাপটা কবরের মাটি নেয় উড়িয়ে,
আমার পাগল হাসি সাথে মৃত্যুর খেলা চলতে থাকে।
তোমার স্মৃতির শীতল হাত আমার হাত স্পর্শ করে,
কিন্তু আমি ধরতে পারি না, সব শূন্য হয়ে যায় আবার।
সেই অশরীরী সুর এবার কান্নায় ভেঙে পড়ে, বলে,
"কখনো ফিরবে না সে, চিরবিদায়, চিরবিদায়..."

দ্বাদশ রাতে মৃত্যুর রাজা কালো কাফনে হাসে,
আমার পাগল চোখে শুধু অন্ধকারের ছবি ফোটে।
তোমার নাম ধরে চিৎকার, কিন্তু শুধু নৈঃশব্দ্য,
মৃত্যুর সাথে খেলা চলছে জীবনের শেষ প্রান্তে।
সেই অশরীরী সুর আবার ফিসফিস করে বলে,
"কখনো ফিরবে না সে, চিরবিদায়, চিরবিদায়..."

ত্রয়োদশ রাতে আঁধার কুয়াশ আমাকে গ্রাস করে নেয়,
পাগল হাসি থেমে যায়, কেবল চোখ ছলছল করে।
তোমার স্মৃতির সুর ঝঙ্কার শেষ বার শোনা যায়,
মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ি চিরবিদায়ের আবেগে।
সেই অশরীরী সুর এবার নীরবে মিলিয়ে যায় গুঙিয়ে,
"কখনো ফিরবে না সে, চিরবিদায়, চিরবিদায়..."

চতুর্দশ রাতের ভোরে সূর্যের আলোয় মৃত্যু হাসে,
আমার চোখের পাতা আর খুলবে না, শেষ নিশ্বাস বেরিয়ে যায়।
কবরের মাটি গা ঢেকে দেয়, সব স্মৃতি চিরবিদায় হয়,
পাগলের মতো হাসি আর নেই, কেবল চিরবিদায়ের নৈঃশব্দ্য।
আর নেই সে অশরীরী সুর, কেবল মৃত্যুর নীরব নৃত্য গেয়ে,
"কখনো ফিরবো না আমি, চিরবিদায়, চিরবিদায়..."

নৈঃশব্দ্যে ফুটে ওঠে কবরে এক তারা,
মনে হলো তোমার হাসিতে ঝলমলে আলোর ঝিলিক।
হৃদয় কেঁপে উঠল, চোখ খুলতে পারলাম না,
শুধু শুনলাম ফিসফিসানি, "কখনো ফিরব না আমি..."
নীরবতা গ্রাস করল, তারাও মিলিয়ে গেল,
চিরবিদায়ের নৈঃশব্দ্য, চিরবিদায়... চিরবিদায়...