শূন্যতার মুখোশ পরে নীল আকাশ হাসে,
মৃত প্রজাপতির ডানা ঝরে পৃথিবীর বুকে।

নীল আকাশে নিঃসঙ্গ মেঘের ভেলা,
তুমি ভেসে যাও কোথায়, জানি না আমি।
আমার হৃদয় দলছুট একাকী পাখির মতো
বিস্তৃত আকাশে হারিয়ে যায়, বেদনায় কাতর।

নীচে পৃথিবী এক বিরাট শ্মশানভূমি,
যেখানে স্বপ্ন ও আশা, সবই মৃত।
মানুষ, যেন মৃতদেহের পোকামাকড়,
নিজেদের ধ্বংসের পথে এগিয়ে যায়, অন্ধকারে।

শহরের আলো, যেন নরকের আগুন,
জ্বলছে প্রতিনিয়ত, আমাদের আত্মাকে পুড়িয়ে।
যানবাহনের শব্দ, যেন রাক্ষসের চিৎকার,
কান ঝাঁ ঝাঁ করে, আমাদের শান্তি ছিনিয়ে নেয়।

প্রকৃতি আর নেই সুন্দর,
বিষাক্ত ধোঁয়া ঢেকে ফেলেছে সবুজ।
ফুল আর ফোটে না, পাখি আর গান গায় না,
শুধু নীরবতা, মৃত্যুর নীরবতা, চারপাশে ঘিরে আছে।

আমরা, মানুষ,
নিজেদেরই ধ্বংসের কারণ।
আমাদের লোভ, ঘৃণা এবং অহংকার,
গ্রহটিকে ধ্বংসের দিকে ধাবিত করছে।

বুঝতে পারিনি, কবে হয়েছে সর্বনাশ,
আমাদের অস্তিত্বের হয়েছে অবসান।
আমরা এখনও মুগ্ধ
স্বপ্নের মায়ায়, ভ্রমের জালে।

কিন্তু সত্যিটা ভয়ঙ্কর,
আমরা সবাই মৃত,
চলাফেরা করা মৃতদেহ।
আমাদের গ্রহ
একটি বিরাট সমাধি।

জীবনের সুর হারিয়ে গেল অজানায়,
শুধু কঙ্কালের শব্দ শূন্যতায় ভেসে যায়।