মেঘের গর্ভে বীজ বুনে দেয়ার কথা ছিল—
সেখানে ছিল উন্মাদিত পদ্মের হাসি,
তবু তুমি দেখো, নীরব মৃত্যুঘুম ফুঁড়ে
বৈষম্যের কর্কশ ছায়া উড়ে আসে শহরের বুকে।
স্বপ্নের ঘুমগাছ গুল্মে পরিণত হয়
যেখানে মানুষ তারাই মৃত, মগজের উজ্জ্বল চাঁদে।

ঢাকার বাতাসে যাদের আঙুলে আঁকা হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী আখর,
তারাই একদিন গাছের শেকড় কেটে দিয়ে চায়
সবাইকে এক রঙে রাঙিয়ে দিতে;
সবাইকে বলে—
নেই আর পৃথক ভাষা,
নেই আর পৃথক মাটি।
সবাইকে হতে হবে একই ছায়ায়,
তালেবান মেঘের খোলসের মতো।
কোনও নক্ষত্র নেই যারা ছুঁয়ে যেতে চায় স্বাধীনতার নীলতা।
তারা শুধু বলে,
সবাইকে হতে হবে ঘাসের মতো নতমুখ,
সবাইকে হতে হবে একরঙা মৃত্তিকার খন্ড।

বাতাসে ছড়িয়ে আছে বীজ,
যুদ্ধের আহ্বান,
যেখানে চাঁদের আলোয় লেখা ছিল
মানুষের মহত্ত্ব আর স্বপ্নের নবান্ন—
তবুও মানুষেরা যেন
ফিরে যেতে চায় সেই শিকড়হীন কুসুমিত মেঘের ছায়ায়,
নির্বাক হয়ে;
তারা ভুলে গেছে কবে শুরু হয়েছিল প্রথম আলো।
যখন বৃষ্টি ঝরে, তখন আর কেউ জাগে না—
যৌবনের যুদ্ধবিগ্রহের প্রান্তর নিথর হয়ে থাকে
জেগে থাকে কেবল শূন্য পাখিদের শোকাবহ উড়ান।