হ্যালো, মাটির কলসিতে রাখা ভোরের জল,
খাঁজ-কাটা রোদের সুরভি মেখে ঘরে ফেরা কাক;
হ্যালো, শাঁখ বাজিয়ে ওঠা আলুনি হাতের পূজোর ঘণ্টা,
হ্যালো, রেললাইনের পাশের গাছেরা, যা জানে শুধু বাতাসের ভাষা;
হ্যালো, তোমাদের চুলার ধোঁয়া,
যা এখনও উড়ে যায় আকাশের নীল কুটিরে;
হ্যালো, পিঠার ভাঁড়ে জমা চাঁদের আলো,
বসে থাকে সোনালি বৃত্তের কোণে—এক টুকরো ইতিহাস;
হ্যালো, সন্ধ্যার আকাশে উড়ে যাওয়া গঙ্গাপাখি;
হ্যালো, ভাঙা রিকশার হুইল, যার গল্প জানে কেবল চাকা আর পথ;
হ্যালো, প্রতিমার গায়ের রঙ, যা খসে পড়ে যায়
ধুলো মেখে থাকা থামের গায়ে;
হ্যালো, তোমাদের প্রতিদিনের লড়াই,
মাটির মূর্তি ভেঙে গড়ার স্বপ্ন,
চুলায় বসা হাঁড়ি থেকে উঠে আসা ধোঁয়ায়
জমা বেঁচে থাকার অশ্রু;
হ্যালো, এই অপমানিত চিলেকোঠা,
যেখানে গল্পেরা থাকে একলা, নিঃসঙ্গ;
হ্যালো, কাশবনের মধ্যে লুকানো নদীর গান,
যা শুনতে পায় না শহরের হট্টগোল;
হ্যালো, রিকশাওয়ালার পূজো, ফুটপাতের দোকানদারের শ্রাদ্ধ;
হ্যালো, সড়কের ধারে বসে থাকা ভিখিরির আরাধনা;
হ্যালো, গলির মুখে থাকা মন্দিরের কাঁদন;
হ্যালো, নদীর তীরে ভাসমান শ্মশানের শান্তি;
হ্যালো, এই অসহায়, অবহেলিত, অপমানিত বাংলার হিন্দু, - কেমন আছ?