বৃষ্টির শরীরে জেগে ওঠে ছাইয়ের গন্ধ,
জ্বলন্ত শোলার আগুনে দগ্ধ প্রতিমা,
বিসর্জনের রক্তিম ঢেউয়ে ডুবেছে প্রার্থনা,
মিথ্যের ভাঁজে বাঁকানো প্রতিজ্ঞা- মন্দিরের ফাটলে ফাটলে নীরব শ্লোক।

পৃথিবীর বুকে কেবল যুদ্ধের ইশতেহার —
জিহাদের চৌকাঠে শেকড়হীন মানুষেরা পুঁতে দেয় ঈশ্বরের কবর।
ধুলোর পায়ে পায়ের ছাপ রেখে হাঁটে প্রেতাত্মারা,
যাদের গলায় বীভৎস ধ্বনির মতো বেজে ওঠে পূজার শেকল।

কোথায় সেই স্লোগান, যেখানে ইদের আকাশ ছিল পূজার রাত্রির নক্ষত্র?
ধর্মের মৌলবাদী কাঁটাতারে বাঁধা পড়ে গেছে মানবতার মুখোশ,
যারা বলেছিল একসঙ্গে থাকবে মন্দির-মসজিদ,
তারা এখন ইতিহাসের উপহাসের জগন্নাথ রথে গড়িয়ে পড়ে ধুলোয়।

এখানে শুধুই পুড়ে যাচ্ছে প্রতিমা আর ঈশ্বরের মুখ,
আকাশের কান্না জমা হচ্ছে নিষিদ্ধ প্রার্থনায়,
শুধু ছাই উড়ে যায় চিরকাল,
যুদ্ধের লজ্জায় জাগে মাটির অন্তিম কবর।