স্বপ্নের নদীতে ভাসি, কল্পনার পালে হাওয়া,
বাংলার মাটিতে মোর শব্দের ফসল পাওয়া।
অক্ষরের বীজ বুনি ছন্দের ক্ষেতে ক্ষেতে,
কবিতার ফুল ফোটে জীবনের প্রতি পাতে।
মেঘের কোলেতে বসে লিখি আমি গান,
সূর্যের আলোয় ভেজা মোর কাব্যের প্রাণ।
নদনদীর কলতানে শোনাই আমার কথা,
পাখির ডানায় চড়ে উড়ে যায় মোর ব্যথা।
বাঁশের বাঁশিতে তুলি ভাবনার সুর,
কবিতায় খুঁজে পাই অনন্তের পুর।
শব্দের মালা গাঁথি অর্থের মণি দিয়ে,
বাংলার হৃদয়েতে রই আমি মিশে গিয়ে।
ছন্দের দোলনায় দোলে মোর মন,
কবিতার জগতে করি অস্তিত্ব-ধ্বনন।

কালের প্রবাহে ভেসে আসি আমি দূর থেকে,
ইতিহাসের পাতায় লেখা মোর নাম দেখে।
অতীতের গর্ভ থেকে জন্ম নিয়ে আজ,
ভবিষ্যতের স্বপ্ন বুনি, এই মোর কাজ।
বাংলার মাটি আর আকাশের মিলনক্ষেত্রে,
কবিতার বীণা বাজে আমার অন্তরনেত্রে।
প্রকৃতির রঙে রঙে সাজাই কবিতার ডালা,
মানুষের সুখদুঃখে গাঁথি শব্দের মালা।
চাঁদের আলোয় ভেজা রাতের নীরবতায়,
কলমের মুখে ফোটে অমৃতের কবিতায়।
তরুণ প্রজন্মের কাছে বার্তা দিই আমি,
স্বাধীনতার গান গাই, মুক্তির স্বপ্ন চুমি।
বাংলাদেশের মাটিতে রোপণ করি আশা,
কবিতার আলোকে জ্বালি নতুন ভোরের ভাষা।
এই আমার পরিচয়, কবির আত্মপ্রকাশ,
বাংলার কবি আমি, এই মোর সার্থক শ্বাস।