পূরব গগনে রক্ত রেখা ভাসে,
স্মৃতির ধুলো ওড়ে দিগন্ত-শেষে।
দেশভাগের প্রেত কাঁদে দীর্ঘশ্বাসে,
ছায়া নামে পথে, অলক্ষ্য বেশে।
সহস্র বর্ষের ভিটেমাটি ছাড়ে,
অশ্রুবারি মেশে নদীর স্রোতে।
হিংসার দাবানল, গ্রাম-গঞ্জ পোড়ে,
ভয়ের পদধ্বনি প্রতি রাতে।
অন্ন-বস্ত্র কাড়ে, আশ্রয়ও টলে,
ভূমিও গ্রাসে হিংস্র হায়েনা যত।
ঘর বাঁধার স্বপ্ন যায় রসাতলে,
নিঃস্ব হয় তারা, সহায় সম্বল গত।
সরকার শুধু কয়, ‘শান্ত হও সবে,’
আইন তবুও বাঁধে না ক’জনেরে।
বিশ্বের চোখে আঁখি মুদে রবে,
কান্নাধ্বনি পৌঁছায় না তো কর্ণান্তরে।
কালের স্রোতে তারা মিলিয়ে যায় ধীরে,
যেন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে।
গণনার খাতায় সংখ্যা নাহি ফিরে,
ছায়াপথ ধরে, অনন্ত গভীরে।