আলোটা ঢেকে দিলে মাটি হয়ে যায় ঢাল,
ঝরা পাতাদের গোপন কথারা ফুটে ওঠে সন্ধ্যার রঙে।
পথে পথে শূন্য চোখ, ক্লান্তি মাখা চোরাবালি জমে —
এখনো দেখো, প্রতিটা পা-চিহ্ন কাঁদে চুপিসারে।

যুদ্ধ শেষে গুঞ্জনগুলো নামল ঝাঁপিয়ে,
ফাঁকা শহরের জানলায় পর্দা টেনে দেয়া হয়।
যাদের হাত তুলে নিয়েছিল হাসিমুখে ফুল হাতে,
তারা আজ বীর্যহীন আতঙ্কে হাঁটে,
স্বপ্নের গায়ে হাত পড়তেই দুঃস্বপ্ন হয়ে যায়।

খোলা আকাশের নিচে ছায়া জড়িয়ে নিয়ে
কিছু আত্মা এসে দাঁড়িয়েছে রাতের পাশে —
বুকের মধ্যে দেশটাকে চুরি হয়ে যাওয়া স্মৃতির মতো লুকিয়ে রাখে।
হাওয়া ভারী হয়ে উঠেছে, ছাইয়ে মিশে যাওয়া অঙ্গার কাঁপে,
সেখানেই ছায়ায় ছায়ায় গড়ে উঠছে সরকারের সভা।

বালির বুকে খোদাই করা প্রতিশ্রুতির মতো
শাসকের পদক্ষেপ — অস্পষ্ট, অপূর্ণ, অনিচ্ছায় দগ্ধ।
আলোর আড়ালে দাঁড়িয়ে যে মুখগুলো কেবল হেসে যায়,
তারা জানে না, জানে না সেই আলোও শেষ পর্যন্ত কবরের অন্ধকারে নেমে যায়।

সব নিখুঁতভাবে বোনা জালে,
জনগণকে মশার মতো উড়িয়ে রেখে,
অন্ধকারের কোণে ষড়যন্ত্রের রান্না চলে।

হ্যালো, শাসক, তোমার মুখোশ খুলে গেছে, এবার কোথায় পালাবে?