হেমন্তের শেষপ্রহর।
আকাশের গায়ে মাটির ভাঁড়ের দাগ—
কেউ বোঝেনি, মাটি পুড়ে গেছে সূর্যের দাঁতে।
হাওয়ার ভেতর ঠান্ডা গুঁড়ো চিনি—
সহ্য হয়, কিন্তু জিভে লাগে।
আমি চেয়েছিলাম তোমাকে লিখতে—
কিন্তু কলমের মাথায় রক্ত জমে আছে।

বাংলাদেশ এখন কী চলছে,
তোমাকে কীভাবে বলি?
এখানে ভালোবাসার ঘড়ি বন্ধ হয়ে গেছে।
সাদা পুলিশের চোখে শীতল মশার তেল,
তারা প্রেমিক-প্রেমিকাদের ধরে, যেন শাকসবজি।
ঘুষ নেয় গোপনে,
হয়ে যায় বস্তার গন্ধে মোড়া গরম পিঠা।

পার্কে বসে প্রেমের দিন—
গাছের পাতাগুলো তারিখ ভুলে গেছে।
বেঞ্চগুলো হাঁপাচ্ছে, তাদের পায়ে ব্যথা।
নিঃশব্দ প্রেমের বেলুন ফুটো করে দিচ্ছে কেউ,
ধোঁয়া উঠছে, অথচ আগুন নেই।
আমাদের শহরের আলো
এখন ঘুমায় না,
অন্ধকারের ঝুল বারান্দায় ঝুলে থাকে,
আর আমি তোমাকে লিখতে পারি না।

প্রেম একসময় মানুষ ছিল,
এখন কাগজের সিগারেট।
তবু আমরা হাওয়ার দড়িতে তাকে শুকিয়ে
কোনো একদিন ধূমায়িত হব।