কতটুকু পথ চলা?
শতাব্দীর দীর্ঘশ্বাস
নিমেষে পার হয়ে,
আমি আজ জনতার দ্বারে
এসে নতজানু হই।
ক্ষমতার উষ্ণ স্পর্শে উন্মত্ত
এই রঙ্গমঞ্চে নামার আগে,
অদৃশ্য শিকলে বাঁধা স্বপ্নগুলো
বুকে টেনে আনি,
বেদনার অশ্রুজলে সিক্ত করতে চাই।
আমার এই ক্লান্ত বুকে
যেন ঝড় বয়ে যায়,
আমার এই দীর্ঘ জীবনের
সব হিসেব মিথ্যা হয়ে যায়।
বহুদিন পরে "স্বাধীনতা" শব্দটা
আজ বড় অচেনা লাগে,
ইচ্ছে করে জনতার দুঃখের সাথে
নিজের দুঃখ মিশিয়ে আলিঙ্গন করি।
সামাজিক মুখোশের আড়ালে ঢাকা
আসল চেহারা উন্মোচিত করে,
জন্ম নেয় এক নতুন মুহূর্ত।
আমি চেয়ার ছেড়ে উঠে
জনতার পায়ের কাছে…
বাইরে আজ তুমুল কোলাহল,
ক্ষমতার দাপটে অস্থির জনজীবন,
ধ্বংস আর সৃষ্টির খেলায়
যেন এক অদ্ভুত প্রহসন।
অসহায় মানুষের ঘামে ভেজা মুখগুলো
যেন এক জীবন্ত উপহাস,
তবুও এই সময় যেন সবচেয়ে মূল্যবান,
যখন মানুষ ফেরে
তার ব্যক্তিগত স্বর্গের অতৃপ্ত সিঁড়িতে।
যখন বন্দি আত্মার মাঝে
ভেসে ওঠে হারানো শৈশবের স্মৃতি,
তোমার সেই স্বপ্নময় মুখের দিকে
আমার স্থির দৃষ্টি,
ক্ষমতার অহংকারে গড়া প্রাচীর
যেন ভেঙে যায়।
প্রতীক্ষা করি সেই মুক্তির বজ্রকণ্ঠের,
নীরবে কাঁদে ভাবনা,
ভেঙে পড়ে পাঁজর।
বুকে বুক রেখে যদি ছোঁয়া যেত
এই দুঃখের সমুদ্র,
আমি চেয়ার ছেড়ে উঠে আসি
অচেনা পথের যাত্রী হয়ে।
চোখ শুকনো,
তবু স্বাধীনতার স্পর্শে
অশ্রুসিক্ত হতে চায় মন!