পৌণে বারো সওয়া বারোর
তফাৎ জানে ঘড়ি ;
বাল্যকালে শিখিয়েছিল
পাঠ্যশালার ছড়ি ।
পোওয়া , ছটাক , আনা , সিকি
গণ্ডা কিংবা কড়া
কড়া মেজাজ গড়াইখুড়ার
ধাতটাও বেশ চড়া ।
মনে পড়ে , বেত্র হাতে
চক্ষু ক'রে মস্ত
ছাত্রগণে শিখিয়ে দিত
দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ ।
মাপতে সোনা ভরি রতি
বস্ত্র গজে ফুটে ,
মিটার লিটার কোথায় তখন
- সে-সব গেছে টুটে ।
দুলে দুলে পড়তে হোতো
শুভঙ্করের আর্যা !
( এখন
মাস পয়লায় পয়সা গুনি
যেমন বলেন ভার্যা )
তারিখ এখন বদলটা হয়
টুয়েল্ভ ও ক্লক নাইট !!
ঠাণ্ডা মাপে সেলসিয়াসে
গরম ফারেনহাইট ;
কোথায় গেল মকসো কষা
কোথায় বা স্লেট খড়ি !
আমরা এখন নেটের থ্রুতে
ঘরে বসেই পড়ি ।
ব্লাডের প্রেসার যাচ্ছে বেড়ে
বাড়ছে ডেলি সুগার
সর্দি কাশি শুনেই খুশি
পাশকরা ডাক্তার !
তখন
চার দাগেতে লাল ওষুধের
কাগজ আঁটা শিশির ,
পেটের ব্যথায় আয়ুর্বেদিক
টোটকা মাসি পিসির ।
রক্তের চাপ দেখত তখন
বৈদ্য টিপে নাড়ি ।
রোগগুলোও না ভুগিয়ে
ভাগতো শরীর ছাড়ি' ।
এখন
একটু জ্বরেই থার্মোমিটার
নিদেন স্টেথোস্কোপ
যদি বাড়ে রোগের প্রকোপ
জমার উপর কোপ ।
প্রেসার মাপো, সুগার মাপো
এক্সরে ,ই সি জি
করিয়ে এসে বাইরে বসো
আগাম ভরো ফি !!
বুকের ব্যথায় ইকোডপলার
পেটের ব্যথায় টেস্ট
ইউ সি জি টা করিয়ে রাখ
ওটাই হবে বেস্ট ।
এখন আবার এসেছে ঐ
কোভিদ অমিক্রন
থার্ড ডোজটা নেওয়ার তরে
গুনুন দিনক্ষণ ।
বারো মোদের বেজেই গেছে
আছি অপেক্ষায় ;
তিরিশ মিনিট তফাৎ হ'লে
কী আর এসে যায় !!
পৌণে বারো সওয়া বারোয়
প্রভেদ আধা ঘণ্টা
কেবল
পুরোনো দিন ভাবতে গেলে
হয় যে ভারী মনটা !!