এই ধরুন, তিপ্পান্ন বছর আগে কোনো এক বসন্তপঞ্চমীতে--
মাথার উপর আকাশ পেতে কাশের মত হেসে
শীতসকালে রিঠা ফলে শ্যাম্পুকরা কেশের
জল শুকোতে মিঠা রোদে মেয়ে এলেন ছাতে ।
পুজোর আগে সরস্বতীর না-পড়া তক্ পাতে
নেই খেতে তাই নারকেলিকুল লুকিয়ে নিয়ে হাতে
(আজকে আবার উপোস তো তাই শেষ খাওয়া ভোররাতে)
ভিজে চুলের জট ছাড়ানোর ছুতোয়-ছলনাতে ---
মন খোয়াতে রোদ পোয়াতে মেয়ে এলেন ছাতে ।।
গামছাখানা পাকিয়ে নিল দড়ির মত করে
পিঠের দিকে হাত দুখানি উল্টো করে ধ'রে
ভিজে চুলের জল ঝরাতে ঝাপটা মেরে চুলে
পাপ দেবে দিক্ সরস্বতী সে সব গিয়ে ভুলে
কামড় দিল পুজোর আগে সবজে বরইকুলে ।
হেসেই আকুল নিজের মনে পরান উঠে দুলে
একটু না হয় নেচেই নিল হাত দুখানি তুলে !
চারদিকে সে রাখল হরিণচোখ
ছাড়ো তো সব , ও ছাদ থেকে দেখছে দেখুক লোক !!
বুকের উপর ভিজে আঁচল টানা
রাঙা পিসি করতো বটে মানা
গা-মুড়-ওঠা ডাগর গড়ন মেয়ে
ছোঁড়ারা সব রসের নাগর লাজের মাথা খেয়ে
বসে থাকে গিলবে যেন ড্যাবডেবিয়ে চেয়ে !!
বলত মেয়ে, লজ্জা কিসের তাতে
যাই যদিবা কখন কখন ছাতে ?
হয়তো অসাবধানে বুকের বসন একটু যদি সরে
লাজেই যাবো মরে ?
কিংবা আঁচল খুলেই যদি পড়ে কী যায় আসে তাতে !!
বাড়ছে বেলা ! সুজ্জি মাথায় ! কে আর আছে ছাতে !!