উত্তর আমি জানি না

জানো আজ কেমন করে বসে আছি!
নিস্তব্ধ ঘর, শুধু পাখাটা বেহায়ার মতো ঘুরছে,
ঘুরেই চলেছে, নিজেই জানেনা থামবে কোথায়!
ঘড়িটাও তেমনি ঘুরতেই থাকে আমার মস্তিষ্কের-
অস্থির কল্পনার তরঙ্গ মাঝে!
যেন পৃথিবীর সবকিছু আমায় প্রদক্ষিণ করছে!

মাঝে মাঝে বাতাসের ঝাপটায় জানালা বন্ধ হয়ে যায়, বেহায়ার মত!
আবার ও খুলে দেই,
মাঠের সবুজ দৃশ্য চোখে ভেসে উঠে,
কি সুন্দর প্রকৃতি,শ্রাবণের ধারার স্নাত হচ্ছে,
মিলন সুখে অবিরত!

চোখটা বন্ধ হয়ে আসলে-
বিড়াল তপস্বী মিউমিউ করে জাগিয়ে দেয়,
সদ্য যোগ হয়েছে পরিবারে, পরিচিত হচ্ছে।
সংসারের খুঁটিনাটি বুঝে নিচ্ছে!
বাইরে ক্ষ্যাপা কুকুরের দাপটে ঘরে বন্দি ও
যেন অনন্তকাল ধরে আমার সাথে সখ্যতা!

কেমন যেন বোকা হয়ে গেছি,
জীবনটা যেন মনে হয় ক্ষুধার্ত কুকুরে ঘেরা রুটি!
সত্যি আগের মত আর জেল্লা নেই শরীরে,
মধুমেহের মধুতে হাবুডুবু খাচ্ছি।
আর শুয়ে-বসে পাঁচ পঁচিশের  অংক কষছি!
কোন এক চমৎকার  এর প্রত্যাশায়!

ছোট্ট একটা মাকড়সার জালের সাথে
জীবনের জাল পেছাতে ব্যস্ত!
জানিনা নিয়তি কবে এসে হাজির হয়,
জানালার সরু ফাকে দিয়ে-
ভালোবেসে বলে, আইসো!
ধূসর দৃষ্টি আরও একটু গাঢ় হয়ে আসে,
তার উত্তর আমি জানিনা,
তারেই বসে খুঁজি!

পিকলু চন্দ
৩০.০৭.২০২০
জিরানিয়া, ত্রিপুরা