পায়ে পায়ে
গুটি গুটি পায়ে চলতে চলতে আমি আজ পয়তাল্লিশ।
জীবনে সুতোর টান টা খুব কঠিন।
একটা নাটাইয়ের হাত ঘুরে ঘুড়িটা যখন আকাশ ছুঁই ছুঁই।
কিন্তু কেউ জানেনা সুতো ছিঁড়ে গেলে কোথায় চলে যায়।
আর খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা?
মানুষ ও তাই, তেমনি করেই চলে!
জীবনে ভর করে অস্তিত্বের সন্ধানে ছুটে।
নাড়ির টান, তবুও টাকার পিছে পড়ে রয়।
ঠিক ঘুড়ির মতোই।
দেশ-বিদেশ ঘুরে ঘুরে কোথা থেকে কোথায় চলে যায়।
তবু ও কেউ তার অস্তিত্বকে খুজে পায়না।
আমি আজ পঁয়তাল্লিশ এর প্রৌঢ়।
অঙ্কের হিসাবে আমি খুব সফল।
কিন্তু আমার অস্তিত্তের রন্ধ্রে রন্ধ্রে-
কেবল শেওলা পড়ে আছে!
কিছুটা মন্দিরে ঝুলান ঘণ্টার মত।
বাজালে বাজি, আবার পড়ে রই!
অঙ্গিকারে দায়বদ্ধ, বসি কি করে?
দুরে একরাশ বালুচর, শুন্য আকাশ,মরুভুমি প্রান্তর,
হাজার ভিড়ের মাজে আমি প্রেম খুজি।
নির্গত লাভা যেন শব্দ হয়ে ছুটে আসে,
বিবেকের লুণ্ঠনে, রক্তাক্ত সমাজ চারিদিকে।
বিস্ফুরনের অপেক্ষায় গুনছে প্রহর!
পিকলু চন্দ
জিরানিয়া, ত্রিপুরা
১২ ই বৈশাখ