মন্ডুরামের পাঠশালাতে
মন্ডুরামের পাঠশালাতে
হাজার দুয়েক ছাত্র পড়ে
বলি, ওরে বাবা,ছাত্র না সব
মন্ত্রণারই হাঁড়ি!
দেখলে তাদের বড় অবাক লাগে,
ভয়েই শক্ত পেশী।
মনডুরামের ভীষণ মজা
শুধু ছাত্র দেখেই খুশী।
হাতে গুনা মাস্টার মশাই
দিদিমনি ও আছে এক!
মাঝে মাঝে, ইচ্ছে হলেই আসে।
ছাত্ররা সব মস্ত পাঁজি
পাঠশালাতে আসতে রাজি-
সবাই মিলে যুক্তি করে
মনডুরামের বাজায় বাঁশি।
মিড্ ডে মিলের খাবার খেঁয়ে
পড়াশুনা মাথায় তুলে
সবাই নাচে হাই সে তুলে,
মন্ডুরামের পাঠশালাতে।
পিকলু চন্দ
আগরতলা, ত্রিপুরা
মন্ডুরামের পাঠশালা একটা উদাহরণ মাত্র। বাস্তবে এখন পাঠশালার যা পরিস্থিতি তাকে দেখলে ভীষণ ভয় পায়। কোথাও স্কুলে ছাত্র আছে কিন্তু মাস্টারমশাই নাই, আবার ছাত্র আছে বৈকি খুব নগণ্য। আবার যেখানে মাস্টার আছে ছাত্র নেই। চলছে এভাবেই, চলবে কারণ তাদের মাথায় সরকার আছে তাদের নিজের সরকার। এখন সব স্কুলে মিড ডে মিলের বালাইয়ে পড়াশোনা লাটে উঠেছে। কিন্তু সরকারের আদেশ পুষ্টির যোগান দিতে হবে পড়াশোনা হোক বা না হোক।
পুষ্টির যোগানের নামে কাদের পুষ্টির যোগান হচ্ছে বাস্তবে একবার ঘুরে আসলে বুঝা যাবে। কারন একটা ডিমে একটা স্টুডেন্টের পুষ্টি বেশি হয়ে যায় তাই একটা ডিমে 12 জন স্টুডেন্ট কে দিতে হয়। বারণ করা যাবে না পুষ্টির যোগান তো দিতে হবে। খিচুড়িতে চাল এর চেয়ে ডাল বেশি হয় কিন্তু এখানে শুধু চাল, একটা দুটা ডালের অবশ্য দেখা পাওয়া যায় বাকিটা হলুদ গুঁড়োর রং হয়। জনতা খুশি সরকার খুশি, টিচার খুশি,ছাত্র খুশি অফিসের আমলারা খুশি। পড়াশোনা করে কি হবে ? আদর্শ শিক্ষা দেওয়া চাই সংস্কার চাই, আর কি চাই?
এই পরিস্থিতি যদি আরো কিছুদিন চলতে থাকে তবে আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা যে কোথায় যাবে তা বলা মুশকিল। আজকাল সবাই টেকনোলজির যুগে সবাই টেকনোলজিতে দক্ষ হতে চায়। কিন্তু সবাই যদি টেকনোলজিতে দক্ষ হয় তবে ডাক্তার কিংবা টিচারকে হবে? যদি আমরা আগেকার আর বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার তুলনা করি একটা বড় Gap ধরা পড়বে আগে একটা as a whole এডুকেশন দেওয়ার সিস্টেম ছিল, কিন্তু বর্তমানে তা না।
#প্রশ্নটা সবার জন্যই তোলা রইলো আশা করি কিছু একটা সমাধান নিশ্চয় বেরিয়ে আসবে।