বাসস্ট্যান্ড

বেশী আর কেউ আজকাল এখন আসেনা-
দিনের  জৌলুস ফুরিয়ে গেছে প্রায়!
রাত্রেবেলা দু'একটা বকাটে উৎশৃংখল ছেলের
আবদারে নাজেহাল হই!
রাতের  প্রহরী এসে তাদের কে ও তাড়িয়ে দেয়।

তবুও শুধু মনে পড়ে ছটফটে প্রাণোচ্ছল
ঐ শ্যামলা মেয়েটার কথা!
কতবার ঠায় দাঁড়িয়ে থাকত।
কখনো আবার গা এলিয়ে বসতো।
বাসের অপেক্ষায়!
আবার যখন কোন একদিন একটা বাইক এসে দাঁড়াতে, মিষ্টি হাসিতে মুখখানা ভরে যেত।
ছেলেটাও খুব মিষ্টি ছিল, দুজনকে খুব ভালো মানাতো।

ওর গায়ের ঘামের উগ্র গন্ধ
বেশ এখনো লেগে আছে বেঞ্চের দেওয়ালে।
আজ  প্রায় তিন মাস অতিক্রান্ত!
যাত্রীরা আসে চলে যায় কিন্তু সংখ্যায় দু-একটা।
আমি তাকে রোজ খুঁজি!
কেউ দেয়াল এলিয়ে বসলে চোখ খুলে দেখি!

ওকে খুব মিস করি-
শুনতে পেলাম, হটাৎ একদিন
ও কিনা খুব অসুস্থ ছিল!
দুজন কানে কানে ফিসফিসিয়ে বলছে,
ওর বুঝি 'করোনা' হয়েছিল!
বড় হাসপাতালে ভর্তি ছিল অনেকদিন।
হাসপাতালের মর্গে পড়েছিল, কেউ লাশ নিতে আসেনি!
মনটা ব্যথায় কেমন মুচড়ে ওঠে
তবুও আমি অধীর আগ্রহে,
ওর গায়ের ভিজে গন্ধের প্রতীক্ষায়-
প্রহর গুনছি!

পিকলু চন্দ
২৫ সেপ্টেম্বর,২০২০
জিরানীয়া, ত্রিপুরা