বাজুক বীণা
মৌন মিছিলের রুদ্ধদ্বার,
শেষে ভাঙ্গিবে যখন;
বয়ে গেলে কাল অকারণে,
ফিরিবে কি সে আর তখন?
দু একফোঁটা শীতল অশ্রু
গড়ায় যদি মুক্ত বাহুমাঝে!
স্পর্শ করে, হৃদয়ের স্পন্দন
ভারি হয়, মন যদি কাজে-অকাজে।
গভীর রাতের স্বপ্ন মাঝে
কিছু স্মৃতি মনে ভাসে অতীতের,
দূরে তারে ঠেলে রেখে কতকাল
বইবে একা, ছবি সুখ কিবা বিষাদের!
আষাঢ়ের অসার বারিধারাতে
হয়তবা বসন্তের আবীর খেলায়,
ভুলে তারে কত কাল রইবে বল,
যদি তরী এসে ভিড়ে মোহনায়!
যত আছে সব নাও, ঝুলি ভরি ভরি,
কিঞ্চিৎ সঞ্চয় কেন বৃথা অকারনে,
বল বড় ভালোবাসি তারে,
মিছে কাল ছুটে পাছে, ভুল অভিমানে।
একটু দাড়াও, ফিরে দেখো একবার,
অসীম আকাশের রামধনু পানে,
সপ্ত রঙ্গিন আভা প্রসারিত করি
জড়াতে তোমায় ছুঁটে, বাহুর আলিঙ্গনে।
কাঙ্গাল ছিল আজও আছে-
ফিরে আসি যদি দাঁড়ায় দুয়ারে,
মুক্ত হতে শুধু জীবনের বাঁধন হতে,
বল সাধ্য কি আছে তারে রুধিবারে।
তুমি একা আছো, একাই থাকো,
জানি নির্মম নিয়তির পরিহাস।
ভাঙ্গিলে সে বাঁধ স্রোতের প্রেমে,
মৃত্যুই তার শেষ অভিলাষ!
একটু দাড়াও ফিরে আসো কাছে,
বয়ে গেলে কাল অকারণে,
ভিজে শ্রাবনের শেষ বারিধারাতে
বাজুক বীণা, চির মিলনের আলিঙ্গনে!!
পিক্লু চন্দ ২৫।০৫।২০২০