আরাম গৃহ

এক রাজার দেশের সে হাজার কথা
নদীর স্বর্ণ জোয়ার যে আসত যেথা।
বলি এক সুখের দিনের গল্প যত
যেথা স্বর্ণ জোয়ার বইত অবিরত।
শুনি রাজার রানীর হাজার বাণী
তৃষা, দিশা,কল্পনা সে বড্ড অভিমানী।
সাজ-পোশাকের গোপন বহর কত
ঘুরেই কাটে দেশ-বিদেশের শহর যত।
ব্যস্ত থাকেন মন্ত্রীমশাই কাজে কাজে
ফিরে ঘুরে রাজ আদেশে গরীব খোঁজে।
নাই তো গরীব রাজার ( দেশে) একটা জানি,
রাজার খুশি হার মানে না গল্প শুনি।
ঘুমে  কাটান মন্ত্রীমশাই অতি খুশি
নামটি যে হরপ্রসাদ আরাম যোশী।

রাজার একদিন হঠাৎ কি যে হলো
রাজমহলে খোশমেজাজে সভা হলো!
আলসি মানুষ খুঁজতে (দেশে) আদেশ হলো
রাজার আদেশ রাজ সিপাহী ব্যস্ত হলো।
যাকে দেখে ব্যস্ত সবাই ভীষন কাজে
ঘোমটা তুলে বধু যেমন চায়, লাজে!
ভারি আজ ব্যস্ত সবাই  যাকেই দেখে
দেখলে সবাই (রাজ) সিপাহী সেলাম হাঁকে!
শুনে রাজা জলে আগুন তেলে বেগুন
লিখে দিলে চিরকুটেতে সবাই  শুন।
হবেই দেশে আরাম গৃহ আজ থেকে
রাজার আদেশ মানতে (হবে) সব বেটাকে!

পুরলে প্রজা আরাম গৃহে সবখানে
দুঃখ সুখে পড়লো হিড়িক সবখানে।
কেউবা খুশি কাটবে সুখে কাজ বিনে
কেউ বা দুঃখী হবে না দেখা প্রিয়া' সনে!
বাড়লো আরাম দিনেদিনে সবখানে
এমনি করেই কাটল বছর (দশ) জানে।
রাজার (ভাড়ার) শূন্য এবার ভুল ভারী
মন্ত্রী একাই ছুটছে সেজে দরবারী।
ব্যস্ত রাজা চুল ছিড়ে যায় কাজ ভারী
মন্ত্রী জব্দ চেয়েই রাজার দরবারী।
রাজা হাঁকে, মন্ত্রীমশাই একলা বসি,
মন্ত্রীমশাই ভেবেই ব্যস্ত অংক কষি।
আসলো মাথায় বুদ্ধি ভালো রাজা খুশি,
জ্বললো আগুন আরাম গৃহে দর কষি।
কেউ পালালো রাতের ঘোরে বেঁচে প্রাণে
কেউবা গেল দেখেশুনে ভোর সিনানে।

শূন্য হলো আরাম গৃহ, মুক্ত সবাই
প্রজা ফিরে খড়্গ হাতে করতে জবাই!
রাজা গেল, রাজ্য গেল, হলো সর্বনাশ
রইল শুধু গরীব বেঁচে (কেমন) পরিহাস!!

পিকলু চন্দ
১৭.০৭.২০২০
(  এটা একটা রম্য রচনা ।
দেশে গরীব খুঁজে খুঁজে চাল-ডাল দেওয়া আগে থেকে চলে আসছিল, এখন ধুম পড়েছে মানে একটু বেশি প্রেফারেন্স দেওয়া হচ্ছে, অন্ন যোজনা, বস্ত্র যোজনা কর্ম যোজনা, ধর্ম যোজনা, বাসস্থান যোজনা, বিন্দাস আরাম যোজনা জুড়ে দিলেও ভুল হবেনা, পুষ্টি যোজনা,ইলেকশন পরিকল্পনা যোজনা। পকেট কর্তন হচ্ছে কাজ করা মানুষগুলোর যারা দিন রাত খেটে মরছে তাদের পকেট সাড়াই হচ্ছে, যাদের কিনা ভদ্র শুদ্ধ ভাষায় মিডিল ক্লাস বলা হয়। অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের চিন্তা সব দেশের সরকারের হওয়া উচিত কিন্তু তা যেন ফ্রিতে না হয় কর্মের মাধ্যমে হয়, কিন্তু হচ্ছে উল্টোটা। একটা কাজের প্রকল্প চলছে মনরেগা আমার বন্ধু বলেছিল ওটা মনরেগা না মরতে যা, যেমন কাজের ধরন বাপরে বাপ!!! কমিশনের সিস্টেম, দোকান খোলা আছে!!! বন্ধুর কথায় মন্তব্য করেনি ভয়ে। আমার বলার একটাই মন্তব্য এমন সিস্টেম মানুষকে কর্মবিমুখ করে দিচ্ছে যা অদূরেই ভয়ংকর পরিণাম ডেকে আনবে এখন যারা আছে তারা জবাব দেওয়ার জন্য থাকবে না মরবে আমাদের নেক্সট জেনারেশন। ইচ্ছে ছিল শিক্ষা স্বাস্থ্য কর্মসংস্থান নিয়ে কিছু বলি কিন্তু শারীরিক দুর্বলতার জন্য পারলাম না। ইচ্ছা রইল কোন একদিন বলার।)