আমি ঝিলিক
উঠেই আমি বসনু গিয়ে সামনের বারান্দায়,
জানা ছিল না, অনেক চোখের রয়েছি পাহারায়।
ঘুরছে আমায় সবাই মিলে, চেনা চোখের চাহনি,
আবছা আমি দেখছি তারে নামটি ছিল রাগিনী।
ডাকনু তাঁরে, বলি, দূরে কেন ওই কাছে চলে আয়,
অনেক বছর বাদে দেখি, স্মৃতি মনে পড়ে যায়!
তুই না ছিলি দুষ্টু মেয়ে জ্বালিয়ে মোরে রাখতি না,
হাজার কথার একটি কথা,একা তুই থাকতি না।
ভোরের বেলায় শীতের দিনে কাঁপতি শুধু বসে,
আমার চাদর টেনে নিয়েই বসতি গিয়ে বাসে।
কেমন আছিস, কোথায় থাকিস, জানতে ইচ্ছে হয়,
অনেক কথাই হয়নি বলা, মনের মাঝেই রয়।
শুনেছি তোর বিয়ে হয়েছে, বর বা তোর কি করে?
অনেক কথাই হয়নি জানা জানতে ইচ্ছে করে!
শিরিষ গাছে ঐ গৃষ্ম এলে ফুল কি এখনো ফুটে!
সাজের বেলা ছেলেমেয়েরা এখনো কি এসে জুটে!
বিন্নি মাসির সিঙ্গারা কি হাতে হাতেই শেষ হয়,
কলেজেরই শেষ দিনগুলি আজো কেন মনে হয়!
আঁকাবাঁকা রাস্তায় হারিয়ে যাওয়া পথের কথা,
আজও কি তোদের মনে আছে হারানো গল্প কথা!
বৃষ্টি এলে ছাতা ফেলে দিয়ে, ভিজতে যেতাম ছুটে,
কাগজের নাও ভাসিয়ে কতই, পিছু ছুটে ছুটে।
এখনো কি ধাঁধাঁয় মন মেতে রয় সন্ধাবেলায়,
চুপ করে থেকো না, কত কথা জানতে ইচ্ছে হয়,
উত্তর ফিরে আসে, আমি রাগিনী ন-ই-ই ঝিলিক!
মারা গেছে সবাই অনেক আগে, বেঁচেছে (শুধু) ঝিলিক!
সাক্ষী হতে একে একে, সমস্ত প্রশ্নের একা একা!
না না (আর) কোন প্রশ্ন নয়, ভালো থেকো বোন (আবার) হবে দেখা!
চোখের সামনে ঝাপসা নেমে আসে কি অন্ধকার,
লুকানো (অনুভূতি)জেগে উঠে-কি কঠিন নিয়ম বিধাতার!
পিকলু চন্দ
জিরানিয়া, ত্রিপুরা