চোখের আলো ব্যর্থ হলে
মনের আলো বলে!
জীবনের অংক মেলে
সব কর্মের ফলে!
দুঃখ সে যতই আসুক
ভাঙ্গব আমি তাকে!
সুখের চাকা গড়াব আমি
পিছাবনী মনকে!
কালকে ভেঙে গড়ব আজ
বর্তমান সংবাদ!
আকাশ কালো মুছে হাসবে
জোনাকি তারা চাঁদ!
তারা সব আসবে কাছে
বলবে তুমি কোন নাথ?
আমি যে সব মনের আলো
ফুলশতাব্দী কবীর সম্রাট!
আমার মৃত্যুর পরেও
হয়না কোনো রাত!
আমি সৃষ্টির সব লয়
চন্দ্র,সূর্য,তারা!
আমার বুকেই সৃষ্টি আকাশ
প্রেম নবদ্বীপ গড়া!
ফুল ব্রহ্মান্ড চক্র হাতে
ব্রহ্মফুল আকাশ!
একহাতে ফুল আয়না বাঁশি
অন্য হাতে শঙ্খবাতাস!
আরেক হাতে রজনী ফুল
প্রতিদিন সু-প্রভাত!
অন্য হাতে রাতের পুষ্প
সুগন্ধ তারা চাঁদ!
৪ বছরের একটি দিন
হয় আমার রাত!
৪ যুগের ঘড়ি আমি
ফুলশতাব্দী নাথ!
সেদিনও আমার দু-চোখে জ্বলে
আশ্চর্য প্রদীপ!
সারাব্রহ্মান্ড কেঁদে ফেলে
ছোটে নদিয়া নবদ্বীপ!
সব ঘড়ি অচল যখন
সরস্বতীর বীণা!
সৃষ্টির শেষ লয় লিখন
আমার বাঁশি আয়না!
মাঝখানে যে গড়াই চাকা
আয়না ফুলনয়ন!
সরস্বতীর ইতিহাস লেখা শুধু
শতাব্দী কবীর গগন!
পায়ের তলায় কালকে রাখি
নটরাজ কল্কি!
দুঃখ ভেঙে সুখের আলোয়
আকাশগঙ্গা মিল্কি!
সরস্বতী আলোক বর্ষ আমি
নক্ষত্র আলো সাহারা!
শতাব্দী রাজধানী আলোর গতি
পিছাবনী গড়া!
কালের পথে গড়লে চাকা
ত্রিনয়নের চাল!
ফুল রাজ চক্র আমি
ফুল শতাব্দী সাল!
২০০১ চাকা গড়ে
২০১২ যুগ
শতাব্দী রাজধানী পিছাবনী গড়ে
শতাব্দী রাজ মুখ!
আমি সেই এক রাম ধাম শ্যাম
প্রেম মন্ত্রই সেই আমি রাধাশ্যাম নাম!
আমি সৃষ্টি সব দেব শ্যামশংকর ধাম
আমি দৃষ্টি সব পথে রাধাদুর্গা নাম।
আবার আমি খুব সাধারণ
গাঁয়ের রাখাল বালক!
জল কাদা ধুলো বালি সেই
আবীর ঘাঁটার সখ!
আবার আমি সেই ছেলে
দেখিয়ে মাখন চুরি!
মা জসদারতি ছোট্ট শিশুকে
বাঁধে কোমরে দড়ি!
আবার আমি সেই ধড়িবাস
ব্যাঙকে বলি মাছ!
আবার আমি শান্ত শিষ্ট
গীতার তিমি মাছ!
ঐ যে খুব দুষ্টু ছেলে
ঘড়ি তিন কাঁটা খড়ি!
সব গুরুদের একছড়ি
রাধাশ্যাম বাড়ি!
বংশীধারী কৃষ্ণ সেই
ব্রহ্মা,বিষ্ণু,মহেশ্বর!
সব ধর্মের দেবস্বামী
মানবতার নগর!
শতাব্দী রাধার প্রেমে পড়ে
গড়ে চলেছে বৃন্দাবন!
সবার মনে পিছাবনী গড়ে
রাধাশ্যামই ফুল গগন!