সেদিন গোধুলীতে দেখেছিলাম তোমায়,
কাজল মাখা নয়ন খানি।
চেয়ে থেকেছি অপলক তোমার পথচলায়,
যেন সময়টা থমকে গিয়েছিলো কিছুক্ষণের জন্য।
আলতা মাখা পায়ে,
নুপুরের দোলায় তোমার হেঁটে বেড়ানো দেখেছি।
তোমার মেঘ কালো চুল,
মুহূর্তেই বিমোহিত করে দিয়েছিলো আমায়।
চোখ যেন শুধু চোখ নয়,
কোন শিল্পীর রঙ তুলির শৈল্পিক ছোঁয়া লেগে আছে এমন।
মনে হয় যেন শিল্পীর অচেনা কোন এক কল্পনা।
যা প্রেমিকের হৃদয়ে কাঁপন তুলিয়ে দেয়।
তোমার অবিরাম ছুটে চলা সেদিন মুগ্ধ করেছিলো আমায়।
তোমার হাসি যেন কাব্য লিখে শত শত,
করে বেড়ায় গান আপন ছন্দে।
তোমাকে দেখার পরে হাজার কাব্য করেছি,
লিখেছি কবিতা অনেক।
তুমি মেঘলা বিকেলের এক স্বচ্ছ রঙধনু,
যার সাত রঙে রাঙাতে চায় মন।
তুমি যে জ্যোৎস্না রাতের মাঁয়া মাখা চাঁদ,
যার আলোর জন্য পথ চেয়ে বসে থাকে পুরো পৃথিবী।
তোমার আড় চোখে চাওয়া চাহনি,
যে কারও হৃদয় ছুঁয়ে যাবে।
তুমি কি হয় তো কখনো তুমি নিজেও ভাবতে পারো নি!
তবে তুমি আমার জীবনে দেখা,
সেই সন্ধ্যার শ্যামা মেয়ে।
যার জন্য হৃদয় আজ ব্যাকুল হয়ে রয়।
যার শ্যামা বরণে হারিয়েছি হৃদয়।