বিভীষিকার রাত
তখনো জানতে পারেনি কেউ
জানবে কি করে?
আকাশে কোন বজ্রের শব্দ তো ছিল না
অথবা কোন সতর্কতার সাইরেনও
বাজেনি সেই রাতে সব ঠিক ঠাকই ছিল
মানুষ নিত্যকার মত যাচ্ছে-আসছে
কেনা কাটা করছে, ঘুরছে, খাচ্ছে
কেউ হাটছে বেকার, কেউ দরকারে..
তারপর হয়ে গেছে কয়লা।
কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই
অথবা বুঝেও মৃত্যু থেকে পারে নাই
বাঁচতে সে রাতে;
সে রাত ছিল শুধু জীবন থেকে
আত্মাকে খুলে নেওয়ার মর্মন্তুদ ফরমাশ..
যে মা নিচে নেমেছিল সন্তানের জন্য
ঔষধ কিনবে বলে আর ফেরে নাই..
যে ভাই বোনের বিয়ের জন্য কেনাকাটা
করতে গিয়েছিল আর ফিরতে পারে নাই..
যারা কেউ জানতো না কিছুক্ষণ পরই
তার শুরু হবে শেষ দেখা..শেষ শোনা..
শেষ বলা.. মৃত্যুর দিকে অশেষ যাত্রা....