শূর্পণখা এল যবে রাবণ নিকট।
নাসিকাগ্রে বহে রক্ত অগ্নি অক্ষিপট।।
হেরিয়া অনুজারে কহেন নৃপতি।
সবিস্তারে বল মোরে ঘটনা সম্প্রতি।।
মিনাক্ষী কহেন তবে শুনহ রাজন।
পঞ্চবটী বনে আমি করি বিচরন।।
মম মন হেরিল সেথা এক মুনি।
করজোড়ে প্রেম তারে নিবেদিলাম আমি।
এতে মুনি ক্রুদ্ধ অতি তুলিলেন বাণ।
বিমাননা করে মোর কাটিলেন ঘ্রাণ।।
শ্রবনে হুঙ্কারে রাজন শুন ওহে গৌর।
তব সব অহমিকা করিব যে চুর।।
বিনা দোষে গুরু দন্ড দিলা মোর বোনে।
দেখি ঐ অহঙ্কারী থাকে কোন বনে।।
সন্নাসী সঙ সেজে রাজা দশানন।
হরিলেন রঘুপতির গর্বের কারন।।
অতঃপর দাশরথ হইয়া অসহায়।
সুঘ্রীব সনে এসে হইলেন সহায়।।
ছল করি নিজ সৈন্য বারাইবার তরে।
হারাইলেন বালি রাজে বিনা সমরে।।
তুমি প্রভু পূজিত জগৎ মাঝার।
এই রূপ প্রকাশিত তোমার আচার।।
লঙ্কা এসে সীতাপতি কৌশল করিল।
বিভীষণে নিজ হস্তে শরণেতে নিল।।
ভাগ্য চক্রে তুমি লঙ্কেশ আজ অসহায়।
হারিতে হইল তোমায় রামের সহায়।।
না করিত তব ভ্রাতা যদি কভু ছল।
তোমারে সমরে হারায় জাগেনি সে বল।।
তোমারে মারেনি জেনো রাজা রঘুপতি।
তুমি যে হেরেছো লঙ্কেশ তব ভ্রাতা প্রতি।।
আপন হারে না কভু ইতর আঘাতে।
সে তো শুধু হত হয় আত্মপ্রিয় ঘাতে।।
ধন্য তুমি মহাবীর রাক্ষস নন্দন।
কুল-মান রক্ষার্থে ত্যাজিলে জীবন।।
________________
(২০১৬, ১৬জুন, বৃহস্পতিবার)
________________