বর্ষা এল বর্ষা;
ঘোর কালো মেঘে বজ্রাঘাতে, বর্ষা!
হৃদয় বিদীর্ণ শুকনো পাতাখানা রেখেছি অতি যত্নে।
পাছে, ধুয়ে মুছে সব সাফ্ না হয়ে যায়।
তোমার প্রনয়ের ঐটুকু তো নিশাণী আমার;
ছেঁড়া কাঁথা, তবুও আশার বীনা বাজায়।
কবেকার বর্ষায় নৃত্যে পুলকিত মন;
ভুলে গেছি আমি।
মনে পড়ে, তপ্ত গহনে-
ছিলে এক চিলতে বারিধারা তুমি।
শুধুই সুধা মাখা,
স্বপনে ভরা সেই দিন;
রূপের ঐ ঘনছটা, বসন্ত বহিত ভূবনে,
উজ্জ্বলিত দীপশিখা, রাত্রিটা ছিল মলিন।
শরতের শিউলি ফুটত,
তোমার ঐ কেশপল্লবে;
আর আমি চেয়ে থাকতাম,
অপলক নয়নে।
আজও তোমার উষ্ণ উপস্থিতি,
হৃদয়ে দেয় অনুভূতি।
তুমি কি কভু ছিলেনা পাশে?
সব-ই কি আমার মতিভ্রম?
আজও যে আমি অপেক্ষায়,
সেই এক পেয়ালা চায়ের;
তোমার প্রিয় টেবিলটায় বসে ,
ভিজছি আমি।
বর্ষার জল না নয়নের বারি,
সব-ই আজ মিলেমিশে একাকার।