কি হইবে তাল, লয় রেখে গীত সুরে বাধিয়ে?
অযথায় উহা জলাশয় করিবে অশ্রু ঝড়িয়ে।
না গান না পদ্য অথবা গল্প প্রবন্ধ,
কোনকিছুই আজ খোজে না মানব
উপন্যাস আর উপাখ্যান তো প্রায় বন্ধ।
যৌবন এখন কবিরা দেখেনা দেখে দেহভোগকারী জনগণ!
সংস্কৃতি বদলে গেছে তাই বাহবা পায়
যাদের শরীর হয় পরিদর্শন।
কবিদের কথা বাসি লাগে রমণী করলে উহু!
যুবকেরা চোখ ফেরায় না
ছড়িয়ে দেয় ওদের দুবাহু।
কলমের জোরে মানবতা আজ হয়ে গেছে হাস্যকর!
অথচ কুশ্রীত চরিত্রের নারীর ডাকেও-
সংবর্ধনা হয় সন্ধ্যা থেকে ভোর।
নারী বিদ্বেষী আমায় ভাবার অবকাশ তিলসম নেই,
যতটুকু আজ চলছে সত্যিকারে আমি ;
তারই মাত্র বর্ণনা দেই।
অবিচার যেন ভূলেও না হয়
জননীর মর্যাদা সর্বোপরি,
সেই নারীকে যখন বাহবা দাও-
লজ্জা লাগেনা দেখ যখন শরিরের ভঙ্গী!
তাদের মন মজ্জায় যে মিথ্যে দিচ্ছ বয়ান,
তাতে কি তোমার পুরুষালি হয় জয়?
করে এসকল পাপিষ্ঠ কামনার ফরমান।
কিসের জন্যে এত উৎসুক তাদের সর্বকাজে!
ফিরিয়ে নাও দুচোখ তোমার
দেখিতে নারি কি করে সাজে;
করি আহবান
মনের চক্ষু সর্বদা রাখ জাগিয়ে-
আছে যেথায় কবির লেখায়
স্রষ্টা সৃষ্টির শত রূপের বর্ণনার মাঝে।