হয় যদি হউক সমালোচনা,
তবু তা হল নির্দ্বিধায় বলা।
নষ্ট আমি হয়েছিলাম-
স্বচ্ছ হৃদয় খুঁজতে।
নারী কূলে কত রহস্য আছে?
সে কথা জানার তরে।
নিশিকালে যারা জেগে থাকে,
পরপুরুষের নিমিত্তে।
এক নামে চিনি ওদের-
পতিতা পরিচিতিতে।
খুঁজিতে খুঁজিতে সন্ধান পেলাম
এমন পাওয়ার গন্তব্যে,
সত্যিই হল শুনেছিলাম যাহা!
মিথ্যে হয়নি মন্তব্যে।
দর কষাকষি দৈহিক গঠনে,
চক্ চকে্ পুরোপুরি হাজার!
বুঝলাম আমি বেশ ভাল করেই,
সর্বদা গরম থাকে এ বাজার।
শ্যাম বর্ণের গোলগাল বদন,
নিতম্ব সিনায় বেশ মানান।
সত্যি হল বলেছিল যাহা,
খরিদদের জন্যই তারা নাকি বানান।
শূন্য ঘড়ে চুপিসারে এনে-
নিরাপত্তা বেশ জোরদার।
কথা বলতেই দেখি চালাকি আছে,
অবলীলায় অশ্লীল তিরস্কার।
তারপর কিছু খানা পিনার-
পূর্বেই ছিল আয়োজন,
খাওয়ার মাঝে বুঝতে পেলাম-
এখানেও কিছু ব্যতিক্রম।
প্রারম্ভিকতায় জিঙ্গেস হল,
কি হালে হয় দিন-যাপন?
কর্কশ স্বরে বলিল সে
হু কত দিনের জানি আপন!
ঢলে পড়ে মোর দেহের মাঝে,
আরো কত ধরণের বায়না।
আমি যদি নিশ্চুপ থাকি,
সাধু পুরুষ সে চায়না।
নিশি যখন মাঝামাঝি কাল-
নিদ্রা নয়ন দু-গহিনে,
আমি তখন তারে শির বুলে দিতে-
দেখিলাম যেতে ঘুমের দেশে।
ভোর বাটিতে মুখর চারিদিক,
ঘুম ভেংগে জাগরণ।
কাঁথাখানি সে গায়ে দেখে-
হয়ে গেল অসাধারণ।
ধীরে ধীরে সে করিল পেশ,
তাহার এমন জীবন ফল।
শেষ অবধি না পারিল রাখিতে,
করিল অশ্রু বিসর্জন।
প্রতারক এক মানুষের ফলে
বাধ্য করেছে এ বৃত্তিতে,
প্রত্যেক্ষ ভাবে বিক্রি করেছে
পর-পুরুষের হাতে।
হিংস্র থাবার নিষ্ঠুর আচরণে,
আমারে ব্যাবহার করেছে অবিরাম!
তাই জীবনের হিসেব না পেয়ে,
অবশেষে এই পথ নিলাম।
বেশ কতক্ষণ নীরব থেকে,
শেষে এক দীর্ঘ নি:শ্বাস।
বল দেখি ভাই এই জগতে,
করিব কারে বিশ্বাস?
এমনি কত হৃদয় জানি-
হচ্ছে ভেংগে চুরমার।
আদৌ কি মানুষ হবে না জাগ্রত
মানুষ্যত্ব আর মানবতা তোমার!