এ কথা কারো কাছে হয়ত
মনে হতে পারে তেতো।
তাতে আমার ভ্রুক্ষেপ নেই,
আমি যে বলতে বাধ্যগত বা অনুগত-
যা হয়ে আছে সর্ব কালের ক্ষত।
আমি দাসযুগের সেই আমলের দাস,
আজো বেচে আছি করিতে প্রলাপ।
নুন-লংকা জুটেনাতো আজো,
আমার তাতে কি?
তুমি যদি হও রাজা কিংবা রাণী।
এখনও রক্ত বেঁচে শুধিতে হয় ঋণ,
আমার কাছে সবি সমান হাত আর মেশিন।
মেহনতি মানুষের অম্লকথা;
বড় বাপুদের লাগবেনাতো ভাল।
দাদনের হিসাব নাই যদিও আজ
তবু যে বাপের ভিটা বাড়ি গেল!
কিসের বিপ্লব কিসের সভ্যতা,
কিসের মানবতা অথবা সংগঠন।
মাপকাঠির যত আদর্শই থাকনা,
আমার জন্য তো আদৌ হলনা বন্টন?
আহারে চলছে আজ ক্ষিদের জ্বালায়-
বিক্রি করে অবোধ সন্তান।
খেটে খাওয়া মানুষের দিনশেষে আহার
এই বুঝি কেড়ে নিল কোন মাস্তান।
উঁচু সুরে যত গাও মানবতার গান
পারবেনা সে সুর করিতে রপ্ত।
যতদিন না অনাদৃতদের দিয়েছ অধিকার-
তাদের যাতনায় না হয় আশ্রুসিক্ত।
আমি ছিলাম পূর্বে আজো আছি তেমনি,
তোমাদের নাটকীয়তার দিতে আভাস।
না চাই না আমি মিথ্যে সাবাস,
যুগে যুগে পরিচিত আমি যে এখন-
হয়ে কালের দাস।