***************
লাল লাল শাড়ি-স্তরের পর তুমি পড়ে থাকো—
ওহে লাল কন্যা-তুমি লাল অবগুণ্ঠনে
তোমার ও মধুমাখা পেলব রূপখান ঢাকি’ রাখো;
তোমার কচিকাঁচা রহে লাল শাড়ির আঁচলের ভাঁজে ভাঁজে
থরে থরে তোমার কোমল ধরের সনে—
তোমার গায়ের ঘেরাণ মেখে ৷
তোমার রূপে পাগল হ’য়ে শত শত দু’পেয়ে স্তন্যপায়ী;
ভ্রমরার মত ডানা মেলি’ তোমার চারিপাশে
ঘোরে ঝাঁকে ঝাঁকে—
তোমার কলাবধুর নব গন্ধ খুঁজে তারা চেয়ে থাকে-
কখন সড়া’বে তুমি তোমার ওই লাল অবগুণ্ঠন!
সজাগ পাহাড়ায় তোমায় তারা রাখে!
তারপর তোমার বাঁধন ধীরে ধীরে আলগা হ’তে থাকে;-
এক এক ক’রে,তোমার শিশুরা খোলা আকাশে,
সমীরে শ্বাস নেয়—পাঁকে ওদের মাথা,কাঁচা বয়স ছাড়ি’—
বড় হয় ওরা-পক্ক হয়;গায়ে বল্ আসে—
তখনি ও নিষ্ঠুর দু’পেয়ে স্তন্যপায়ীরা—একাত্তরের আগে
বা পরে-অথবা সাতচল্লিশেরও আগে!
সন্ধ্যার আঁধারে খুধাতুর হায়নার মত ঝাঁপিয়ে পরে ওদের কায়ায়—
শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ছিঁড়ে ছিঁড়ে কেউ দূরে নিয়ে যায়;
আর কেউ রেখে যায় রক্তাক্ত শরীর তোমারি ছায় ৷
আর তুমি নীরবে চেয়ে থাকো ওই দিগন্তের পানে—
তোমার শূন্য লাল আঁচলের ভাগে;
শূন্য বুকে—আর রক্তাক্ত দেহ তোমার পাশে!
***********
*****
*