চেয়ে দেখো ওই বিস্তীর্ণ খোলা প্রান্তর—
ভ’রে আছে কত অজানা অচেনা ঘাসে—
তারি মাঝে পেতেছে ওরা ওদের ছোটো সংসার!
ওরা কত দুর্বল তবুও কত সহজ কত সরল,
কত স্বাধীন—ওদের জীবনের চাহিদাও অতি নগন্য,
বেঁচে থাকার দরুন যে এক গ্রাস প্রয়োজন
সেই পরিমিত পরিমাণেই ওরা ধন্য!
প্রতি পদে পদে কত শত আঘাত আসে
নেমে ওদের ওই ক্ষুদ্র জীবনের ছোট্ট কায়ায়—
কখনও পাথর বালির দমবন্ধ করা দীর্ঘ পীড়ন;
কখনও বিধাতার সৃষ্ট অতি উন্নত অতি মানবীয়
মানবের হাটাচলার তীব্র পদ দলন;
অথবা উন্নত উঁচু তলার অকারণ তাণ্ডবলীলা!
ওরা তাও কেমন শান্ত কেমন নীরব—নেই কোনো প্রতিবাদ
নেই প্রতিহিংসা ওদের কোমল সরল মনে;-
আছে কেবল নিবিড় বিশ্বাস আপনার ঘ্রাণে,
প্রকৃতির মায়াময় আদরে জাগে আবার নতুন প্রাণে ৷
ফিরে দেখো এবার উন্নত নগর—রাখো আঁখ
বিধাতার হাতে অথবা বিবর্তনবাদে সৃষ্ট শ্রেষ্ঠজীবে;
সরলতা আজ বিলীন—খেলা করে কেবল জটিলতা!
হাহাকার,হানাহানি,খুনাখুনি চলে অনিবার,
অর্থের লাগি একে অপরকে সদা করে পরিহার৷
প্রয়োজনের অধিকেও—ভরে না জটিল এ মন,
আরও চাই আরও চাই অন্তরে সদা ধ্বনিত এই রব ৷
আতস কাঁচের নিচে খুঁজে দেখো সরলতা,
সেও কাঁদছে ব’সে ওই মুমূর্ষ মানবতার সাথে!
সহজ সরল জীবন পাবে না—পাবে না খুঁজে
ওই ঘাসের জীবন এ ব্যস্ত শহরের অস্হিরধারাতে!
***********
*****
*