****************
চেয়ে দেখো ওই ছেলেটাকে শুয়ে আছে পাকা পথের একধারে
ছিন্ন মলিন বস্ত্র পরিহিত—
ও এসেছিল এ আধুনিক অত্যাধুনিক উন্নত শহরে,
কাজের খোঁজে কোনো মানবিক মানবের দ্বারে,
সে হয়তো নেড়েছিল কড়া পরিমিত;
সে চেয়েছিল মানুষ হ’তে—মানুষের মত মানুষ!
কিন্তু মনুর মানবের মানবতার পরিহাসে
সে আজ পথ হারিয়েছে জীবনের—তাই প্রকৃতির মার্গের পাশে
সে নিয়েছে আশ্রয়,থাকে এ প্রকৃতিরই কোলে!
এই যে নিশি আঁধার দিবালো—এরা সবাই জানে
ওর পরিচয়—জানে পথের নিয়ন বাতি ত্রিফলা আর তপন,
রাতের শশীও—এরা সবাই দেখেছে শহরের মানবতা
কাঁদে ব’সে ওই ছেলেটির সাথে
আবার ঘুমায় পথের পাশে ওর সাথেই দিবা রাতে!
এ প্রকৃতিও দেখে মানবতা ওই অনাহারীর সনে
একমুঠো অন্নের জন্য নীরবে পথ হাটে!
অথচ শহরের বুকে সেই ছেলেই খোঁজে মানবতা!
অবশেষে পায় খুঁজে ভিখারীর মলিন অন্নপাতে—
এক গাল খাবারের সাথে ভিখারীও তুলে দেয় মানবতা
ওই মানবের মুখে ভুলে আপন দীনতা!
এভাবেই পাবে তুমি মানবতা পথে ঘাটে—
শহর নগরের অলিতে গলিতে কোনো মানবের পদতলে!
মানবতা আছে রাস্তায় ধূলোয় মাখামাখি ক্ষুধার্ত শিশুর গায়!
অথবা কাঁদে ব’সে ওই বাটের ধারে এক মুমুর্ষ ব্যক্তির পায়!
মন্দির মসজিদের সাজানো প্রবেশদ্বারের বাইরে
সারে সারে যারা ব’সে মাগে এক টাকা দু’টাকা—
তুমি দেখিতে পাবে মানবতা এদের সাথে ভিক্ষ্ পায়
কোনো মানবের জীবন্ত মানবতায়!
***********
*****
*