এ পৃথিবীর 'পরে-বাহিরে ভিতর
ছড়িয়ে আছে যত
প্রাণ জীবন্ত
সবই তোমারি রূপান্তর!
তুমি হিন্দু কভু তুমি মুসলমান
তুমি শিখ তুমি জৈন তুমিই খ্রীষ্টান!
তুমি পথপ্রান্তে ব'সে ভিক্ষ্ মাগো!
দাতা হয়ে তুমি আপনাতেই রাগো!
আপনি বাধা দাও আপনারে তব দৃঢ় শব্দবাণে-
তুমি ‘কাদের’ কভু নাহি যাও শ্মশানে
অথবা তুমি ‘ঋষি’ যাওনা ওই গোরস্থানে!
তুমিই ধ্বংস কর তোমার আরও রূপান্তর;
ওই অচল জীবন্ত বৃক্ষের দল,
এ মাটি, বায়ূ আর এ জল-
অজ্ঞতায় পরিপূর্ণ তোমার অন্তর!
শাণিত তরোয়ালে প্রাণ নাও আপনার
রক্তের হলি খেলা-দাঙ্গায় প্রতিবার!
তুমিই বপন করেছ অসাম্যের নীতি
এ ধরাসংসারে!
সরা’য়ে রেখেছ তুমি একতার প্রীতি
নিবিড় আঁধারে!
বিশ্বাস নাহি হয় লোকে যেমন কয়
‘তুমিই সৃষ্টির মূলে’!
তাই হয় যদি ওহে, ওহে দয়াময়;
তবে কেন কর আপনি এ সব,শান্তি ভুলে?
কেন একতার মন্ত্র শোনাও না তুমি
তোমার মুখে,নীল গগনের তলে!
কেন বাড়াওনা তুমি বন্ধুত্বের হাত, সবার তরে!
কেন চূর্ণবিচূর্ণ কর না ঐ নিগড় বৈরিতার!
কেন তোমার গলে উঠে না গান সমতার!
হিন্দু মুসলমান শিখ জৈন কেন মরে
রক্ত মদিরার ঘোরে!
কেন সাজাওনা আপনার পৃথিবীরে
আপনার মত ক’রে,
তোমার সকল রূপের তরে-
বিরাজে এ ধরার ‘পরে ৷
*********
*****
*