**************
আমার ছোটো ঘর এ ধরার ‘পরেই পাতা
তৃণাবৃত বিস্তৃত শ্যামল চাদর আমার গেহের মেঝে!
আর লম্বা ওই তৃণ আমার ঘরে অন্দর বৃক্ষ—যারা
অবিরত অন্দরমহলের বাতাস করে শুদ্ধ—মেখে ধূলিধারা
আপন কায়ায় ৷
ঘরের চারিদিকে নীল প্রাচীর আর ওই নীল চাল—
তারি মাঝে ব’সে আমি একা;সনে এক কেদারা,এক টেবিল,
একটা কলম আর একখানি খাতা ৷
ওই যে উজ্বল গোলাকার পিণ্ড—কভু শুভ্র কভু রক্তিম;
বিদ্যুৎ অথবা কেরোসিন তেলের বাতি আমার ঘরে —
দিয়ে যায় সে তার করুণ আলো আঁধারকে দূরে
ঠেলি’—কখনও এপারে কখনও আবার ওপারে;
আমি যে পারেই থাকি ৷
আলো কমে আসে কখনও কালো বা সাদা চাদরে—
জমে বাল্বের অথবা কেরোসিন বাতির গায় ক্রমে ক্রমে;
মুছে দেই তারে-মুছে যায় মেঘচামরও,প্রকৃতির নিয়মে!  
ওই ‘ঝলসানো রুটি’ আমার নিশি প্রদীপ—জ্বেলে রাখি
আমি যবে ঘুমাই—ইচ্ছায় কখনও নিভিয়ে রাখি;
একটানা এক পক্ষ দিন!
আমার ঘরে মিট্ মিট্ জ্বলে বানানো রাবার তারাসম-
ওই রাত আকাশের তারা;ঝুলে থাকে নীল চালে!
আমার এই ছোটো ঘরে ব’সে আমি কবিতা লিখি,
কবিতার রসদ খুঁজি ৷
আর ভাবি—কি যে লিখি ছাইপাশ!
পড়বে কি কেউ নাকি বৃথা এ প্রয়াশ!
খাতার পাতা ছিঁড়ে ছিঁড়ে করি জড়ো এক কোণে-
আর মনে মনে ওই নীল চাল ছুঁতে চাই!
কলম দিয়ে আঁকি কল্পনার সিড়ি এ সাদা পাতায়;-
উঠে যাই আমার ঘরের নীল চালের উপরে,কল্পনায়—
তারপর চেয়ে দেখি খালি শূন্যতাই
ছড়িয়ে আছে চারিদিকে শূন্যতায়!
আর নীল চাল সরে গেছে আরও দূরে—
ভেসে আছি আপন ঘরে শূন্যে—চারিদিকে নীল বেড়াজাল
আর নিচে সবুজ মেঝে!
             ***********
                   *****
                       *