*১১ অক্ষর *
লেখাটা খুব কাঁচা হয়ে গেছে
********
তপ্ত দিনের বিকেলবেলায়
বইসা আছি আপন ভেলায়,
অঞ্জনার নীরব শান্ত জলে—
তোমার মধুর সুখের কোলে ৷
কচুরিপানা ফুল দলে দলে
দুলিয়ে কোমর নাচন তোলে
কোমল বায়ের কোমল দোলে
জলের ‘পরে—ছ’পেখম তুলে ৷
কেউবা আবার ছুটছে ভেসে
কোমল সমীর রে ভালোবেসে,
কেউ ওরা পরম পতিব্রতা—
বাঁচায় আপনার নির্মলতা ৷
আঁখি হঠাৎ পড়িল পশ্চিমে
রক্ত রবি মিলেছে ওই ভূমে—
তপন প্রাণ জুড়াইছে ছলে
তোমা' আমার অঞ্জনার জলে ৷
বাঁশের সারি নৃত্যে মাথা নাড়ে
আপন মনে দাঁড়িয়ে দু’পারে ৷
মর্মর স্বরে প্রাণহীন পাতা
খসে পড়ে ভুলে জীবন ব্যথা ৷
তোমার মিনসন্তান সদলে
পানি ‘পরে তরঙ্গ তুলে চলে—
কোনো লাবণ্য কিশোরীর পিছে,
অথবা দৌঁড়ানো খেলা খেলিছে !
ব্যাঙের ডাক শোনা যায় দূরে —
মায়ায় সে সপেছে আপনারে
কোনো বিষধর সাপের কাছে—
যদি তাঁর কাঁচা সন্তান বাঁচে ৷
মোর কাঠের ভেলার দু-ধারে
ঢেউ সবে ছলাৎ ছল্ মরে !
তোমা' কোলে বসেই দেখি-শুনি
আমি তব রূপের লীলা খানি ৷
***********
*****
*