*কুমোরটুলির আশেপাশে গঙ্গার ধারে বসে লেখা।
******
তুমি বলেছিলে আমার কানে কানে—
আমি দেখিতে পাইবো তোমার লাবণ্য
আমার মনের গভীর নয়ানে,
আমি যাই যখন যেখানে ৷

আমি তবে কেন পাইনা দেখিতে তোমারে
এ ধূলি ধূসর নগরে শহরে—
যেথা আকাশছোঁয়া ইটের দালান সারে সারে
দাঁড়িয়ে আছে পাকা বাটের দু’ধারে ৷

আমি পথ হেঁটে চলেছি কেবল
তোমারি লাবণ্যের খোঁজে ৷
পেরিয়ে এসেছি ব্যস্ত নগরের কোলাহল
আর মোটর গাড়ির অকারণ উচ্চ বোল ৷

আমি খুঁজে পাই নি তোমায় শহরের ভিড়ে,
বানানো ইটের পাহাড়ের মাঝে ৷
দিবা শেষে নিরাশে আমি তাই এলেম গঙ্গাতীরে—
দেখিলেম তোমার লাবণ্য সশরীরে ৷

গঙ্গার জলে তোমারি প্রতিচ্ছবির খেলা
অবিরত কল কল ছলাৎ ছল রবে—
তারি মাঝে শশীকলা আর তারার মেলা—
ওপারের বিজলি বাতি হয়েছে ওদের চেলা ৷

ছেঁড়া-কাঁটা সাদা স্বচ্ছ মেঘ আকাশে
ভেসে যায় মৃদু মন্দ বায় ৷
শশীকলা তারি মাঝে মিষ্টি ক’রে হাসে
মেঘের আচিলে অথবা প্রকাশে ৷

কোমল বায় ব’য়ে যায় গাছের পাতায়—
কেউ হেলে দুলে নৃত্যে মাতে,
কেউ শেষ কথা বলিতে বলিতে ঝরে যায়—
তোমারি লাবণ্য আমি দেখি এদের খেলায় ৷
           ***********
                 *****
                     *